নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনকে ‘মোটামুটি সঠিক’ বললেন ব্রিটিশ সাংবাদিক বার্গম্যান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৮

ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান
বাংলাদেশে মৌলবাদের উত্থান সম্পর্কে নিউ ইয়র্ক টাইমস যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানে ‘মোটামুটি সঠিক’ চিত্রই ফুটে উঠেছে বলে মনে করেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিবেদনটিকে ‘একপেশে’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
একই সঙ্গে বার্গম্যান ইসলামি মৌলবাদের উত্থানের দায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেননি, চাপিয়েছেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘাড়েই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে মঙ্গলবার দেওয়া এক পোস্টে এই মৌলবাদের উত্থানের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “এক দশক ধরে জামায়াতের ইসলামের ওপর যে দমন পীড়ন আওয়ামী লীগ সরকার চালিয়েছে, তাতে সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশে ইসলামী শক্তির যে পুনরুত্থান ঘটবে, তা মোটামোটি নিশ্চিত ছিল।”
তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নোবেল বিজয়ী ইউনূস নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ধর্মীয় শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নারীদের অধিকারের পক্ষেও কথা বলেছে। তবে তা যথেষ্ট নয়।
তার মতে, আওয়ামী লীগের পতনের পর যে রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, তা এতদিন নিপীড়নের শিকার ইসলামি দলগুলো, বিশেষ করে জামায়াত ইসলামির আবারও শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ করে দিয়েছে।
বার্গম্যান পোস্টে আরও লিখেছেন, “এখন আওয়াজ তোলার দায়িত্ব তাদের, যারা একটি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে বিশ্বাস করেন।”
একই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, এ ধরণের আওয়াজ এখন অনেকটাই ক্ষীণ। যার বড় কারণ হলো, ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে থাকা অনেকেই আগে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করতেন। ফলে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের পক্ষে প্রকাশ্যে সরব হওয়াটা সহজ নয়।
ডেভিড বার্গম্যানে একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক। যিনি বিডিনিউজ২৪, ডেইলি স্টার, নিউ এইজ সহ আরও বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্বৈরশাসক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স ম্যান’ নামের আলজাজিরার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে যুক্ত থাকায় তিনি বাংলাদেশে ব্যাপক পরিচিতি পান।
এ ছাড়া বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ত্রুটিযুক্ত উল্লেখ করে এর সমালোচনাও তিনি করেছিলেন। ২০১৪ সালের শেষ দিকে আদালত তাকে এই মর্মে দোষী সাব্যস্ত করেন যে তিনি, ‘জাতির অনুভূতিতে আঘাত’ করেছেন।