কাউকে চরমপন্থার সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না: মাহফুজ আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১২

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে কাউকে চরমপন্থার সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে হার্ডলাইনে যাবে সরকার।
বুধবার সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত মাসুম মিয়ার কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা মাহফুজ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ধর্মীয় মৌলবাদীদের দখলে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস। বাংলাদেশে মৌলবাদের উত্থান তুলে ধরতে বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এনেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদনকে একপেশে বলা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনটিকে 'উদ্বেগজনক ও একপেশে' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “ভুল চিত্র তুলে ধরে এমন বাছাই করা উসকানিমূলক ঘটনা না টেনে গত এক বছরে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা দেখা উচিত।”
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে আজ কুমিল্লায় তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে চরমপন্থার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ কাউকে নিতে দেওয়া হবে না। আমরা চেষ্টা করব বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উগ্রপন্থা যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে।
“নির্বাচনের মাধ্যমে যেন গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ভূমিকা রাখতে পারি। যদি আলোচনা সতর্কতায় কাজ না হয়, যদি দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হয়, সরকার অবশ্যই হার্ডলাইনে যাবে" বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, “শহীদের চেতনা যেন বাংলাদেশের জনগণ ধারণ করে। গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের বিচারের কাজ যেন শেষ করে যেতে পারি আমরা সেই চেষ্টা করব। শহীদদের আকাঙক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের চেষ্টা আছে। জনগণ এটার সঙ্গে আছে। আমরা বিশ্বাস করি এই চেতনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা প্রকাশ করলে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করব।”
গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “যতদিন আছি, আমরা চাইব গণমাধ্যমের একটি গুণগত সংস্কার। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনায় মফস্বল ও কেন্দ্র নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা আছে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান ও সদস্য সচিব রাশেদুল হাসানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।