Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ব্যাংককে ইউনূস-মোদীর বৈঠক হচ্ছে: বাসস

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৩৯

ব্যাংককে ইউনূস-মোদীর বৈঠক হচ্ছে: বাসস

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি- সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বৈঠক হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাসস।

প্রথমবারের মত ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে এই বৈঠক হতে যাচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাসস।

বুধবারই রোহিঙ্গা সংকট ও সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলী সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিকে প্রস্তাব দেয় ঢাকা। তবে গত ২৮ মার্চ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠকটিই হবে একমাত্র দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।

বুধবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে খলিলুর রহমান বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে এই বৈঠক (দুই দেশের নেতাদের মধ্যে) আয়োজনের অনুরোধ করেছি... এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে খলিলুর বলেন, বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারা সংস্থাটির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করবেন, তাই মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বৈঠক হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, “এই বৈঠক নিয়ে আমাদের আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।”

গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন অবসানের পর থেকে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শেখ হাসিনার শাসনামলে ‘গুম-খুন’ এবং শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ এনে সেগুলোর বিচারের কথা বলা হচ্ছে। এর মধ্যে একাধিক মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় আওয়ামী লীগ সভাপতিকে দেশে ফেরত পাঠাতে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারত সরকারকে ‘কূটনৈতিকপত্র’ পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে ভারত এখনও কোনো জবাব দেয়নি।

ইউনূস সরকারের অভিযোগ, দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ‘অস্থিতিশীল করার চেষ্টা’ করছেন। পাশাপাশি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও অপতথ্য’ প্রচারের অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

অন্যদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে ভারত সরকার।

বিভিন্ন বিষয়ে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি সীমান্ত সমস্যা এবং শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে কূটনীতিক তলবের পাল্টাপাল্টি ঘটনাও ঘটেছে।

এখন অন্তর্বর্তী সরকার আশা করছে দুই সরকারপ্রধানের বৈঠক হলে কূটিনৈতিক সম্পর্কের স্থবিরতা কেটে যাবে। পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন ২৫ মার্চ এক সম্মেলনে বলেন, “ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্কের বর্তমান যে প্রেক্ষাপট, সেই প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমরা আশা করি যে, যদি এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে স্থবিরতা, সেটা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।”

বিমসটেক সম্মেলন ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫