
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে
বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ-বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমসটেক সম্মেলনে ব্যাংককের একটি হোটেলে এই নৈশভোজে টেবিলে তাদের দুজনকে এক টেবিলে পাশাপাশি বসতে দেখা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট কারা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ইউএনবিকে জানিয়েছেন, দুই সরকার প্রধানের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়েছে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের নেতাদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
শাংগ্রি-লা হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে বিমসটেক নেতাদের স্বাগত জানান থাই প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন সিনাওয়াত্রা। এরপর নৈশভোজে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও দেন তিনি।
আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছবিও তোলেন থাই প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রা।
সম্মেলনের সাইডলাইনে ইউনূস ও মোদীর বৈঠকের কথা রয়েছে। মোদী-ইউনূস বৈঠক নিয়ে ঢাকার আগ্রহের কথা জানিয়ে চিঠি পাঠানো হলেও প্রথমে তাতে সাড়া দেয়নি দিল্লি। তবে বুধবার বাসস এক প্রতিবেদনে জানায়, দিল্লি চিঠির জবাব দিয়েছে। তবে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দিল্লির সাউথ ব্লক আনুষ্ঠানিক কিছুই জানায়নি।
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
শুক্রবার সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি বৈঠক করার কথা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের।
বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত ছাড়ার আগে এক বিবৃতিতে মোদী বলেন, দেশের জনগণের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সহযোগিতা জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা করতে তিনি বিমসটেক দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর শুরুর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমসটেক দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করব। আমাদের জনগণের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ফলপ্রসূভাবে কীভাবে সহযোগিতা আরও জোরদার করা যায়, তার অপেক্ষা করছি।