সহিংসতার আশঙ্কা: ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সতর্কবার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:২২

গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে সোমবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সামনের বিক্ষোভে এই প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিতে পারে, এমন শঙ্কার মুখে বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঢাকায় দেশটির দূতাবাসের বৈকালিক কাজও সীমিত করা হয়েছে।
সোমবার দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়।
নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে দূতাবাসটি বলেছে, “নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চলা উচিত এবং মনে রাখা উচিত যে, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করা হলেও তা সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে এবং সহিংসতায় রূপ নিতে পারে।”
এদিকে সকাল থেকেই ঢাকার ভাটারার নতুনবাজার এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাছে প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করছেন অসংখ্য মানুষ। ‘ইসরায়েলের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’, ‘ইসরায়েলের ঠিকানা এই দুনিয়ায় হবে না’সহ নানা স্লোগান দিচ্ছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বারবার ইসরায়েলের পাশে অবস্থান নিয়েছেন এবারও গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের মধ্যে সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে তারা, যদিও একাধিকবার সংযমের আহ্বানও জানানো হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়, “সোমবার দিনব্যাপী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাজা সংঘাতের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা এবং সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করবে, যা কেন্দ্রীয় গণ-বিক্ষোভে পরিণত হবে। “সম্ভাব্য যানজট বৃদ্ধি এবং দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হবার সম্ভাবনা দেখছে তাই মার্কিন দূতাবাস ৭ এপ্রিল বিকেলের জনসেবা সীমিত করবে।”
নিজ দেশের নাগরিকদের বিক্ষোভের এলাকা এড়িয়ে চলা ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম পর্যবেক্ষণ করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। জনসমাগম এড়িয়ে চলার পাশাপাশি জরুরি যোগাযোগের জন্য চার্জযুক্ত মোবাইল ফোন বহন করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে দেশটির দূতাবাস বলছে,
“আপনাদের বিক্ষোভ এড়িয়ে চলা এবং যেকোনো বৃহৎ সমাবেশের আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। “ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা উচিত। স্থানীয় অনুষ্ঠানসহ আপনার আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। হালনাগাদ তথ্যের জন্য স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত।”