Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ঈদযাত্রায় আড়াইশো নিহত, ৪২% মোটরসাইকেল যাত্রী

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২১:২৯

ঈদযাত্রায় আড়াইশো নিহত, ৪২% মোটরসাইকেল যাত্রী

চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলায় বুধবার বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়।

এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে ২৪৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রতি ১০ জনে চারজনই মোটরসাইকেল যাত্রী।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

ঈদের আগে ও পরে ১১ দিনে (২৬ মার্চ-৫ এপ্রিল) সারাদেশে ২৫৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৯ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪১ নারী ও ৫৯ জন শিশু।

নিহতদের মধ্যে ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

দুর্ঘটনায় ৩৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৩২ জন। ঈদের সময়ে ছয় নৌ-দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৫ আহত হয়েছেন। ১৭ রেলপথ দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯ জাতীয় দৈনিক, ৭ অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, ১১ দিনে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আহত হয়েছেন ৫৫৩ জন। তবে বাস্তবে আহতের সংখ্যা ২ হাজারে বেশি।

ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালেই ঈদের দুই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি হন ৫৭১ জন, যার অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে। এই বাস্তবতায় সারা দেশে আহত মানুষের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি হবে বলে দাবি করেছে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি।

যেসব যানবাহনে যতজন নিহত

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১০৬ জন, বাস যাত্রী ১৪ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৯ জন ও প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ১৮ জন।

ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যানের ৪৯ জন যাত্রী, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-আলগামন) ১০ জন ও বাইসাইকেল আরোহী ৪ জন নিহত হয়েছেন।

যেসব সড়কে যতটি দুর্ঘটনা

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৮৭টি জাতীয় মহাসড়কে, ৯৮টি আঞ্চলিক সড়কে, গ্রামীণ সড়কে ৪৩টি ও শহরের সড়কে ২৯টি দুর্ঘটনায় সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনের সংখ্যা

দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনের সংখ্যা ৪০৮। এর মধ্যে বাস রয়েছে ৭৮, ট্রাক ২৯, কাভার্ডভ্যান ৪, পিকআপ ৫, ট্রাক্টর ৬, ট্রলি ৫, ড্রাম ট্রাক ৩, ট্যাঙ্ক লরি ১, মাইক্রোবাস ১১, প্রাইভেটকার ১৮ ও জিপ একটি।

১১৯ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে, ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান ৮৮, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন নসিমন-করিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-আলগামনে ২১, বাইসাইকেল-রিকশা ১১ ও অজ্ঞাত যানবাহন রয়েছে ৮টি।

কোন বিভাগের দুর্ঘটনা কত শতাংশ

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ ও প্রাণহানি ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

রাজশাহীতে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

চট্টগ্রামে দুর্ঘটনা ১৫ দশমিক ১৭ শতাংশ ও প্রাণহানি ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

খুলনায় ১৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ দুর্ঘটনা ও ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ ঘটেছে প্রাণহানি।

বরিশালে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ২২ শতাংশ ও প্রাণহানি ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।

সিলেটে ২ দশমিক ৭২ শতাংশ দুর্ঘটনা, ২ দশমিক ৪০ শতাংশ হয়েছে প্রাণহানি।

রংপুরে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ ও প্রাণহানি ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও প্রাণহানি হয়েছে ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৭৪ দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৭ দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ১৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত হয়েছেন ৩১ জন।

রাজধানী ঢাকায় ৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়েছেন।




Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫