-67d15ed556d8f-(1)-67f50c04d599b.jpg)
প্রতীকী ছবি
মার্চ মাসে সারা দেশে ৪৪২ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৬৩ জন। যার মধ্যে ১২৫ জনই শিশু।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে ১৫ টি দৈনিক পত্রিকায় মার্চ মাসের সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
নারী ও কন্যা নির্যাতন বিষয়ক তথ্য দিতে গিয়ে সংগঠনটি বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মোট ৪৪২ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন কন্যা শিশুসহ ১৬৩ জন। তার মধ্যে ১৮ জন কন্যাসহ ৩৬ জন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, দুই জন কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, দুই জন কন্যা ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এছাড়াও ৫৫ জন কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
গণ-আন্দোলনে সরকার পতনের পর দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ধর্ষণ ও নারীদের ওপর হেনস্তার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বেশি।
দেশজুড়ে একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ ও ক্ষোভের মধ্যে ঢাকার শাহবাগে গত ১১ মার্চ ৩০টি কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ধর্ষণে জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু দাবি উঠে এসেছে।
শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিচারের দাবি যেমন তুলছেন, তেমনি ভুক্তভোগী নারীর পরিচয় যেন কোনোভাবেই প্রকাশ না হয়, সেটি নিশ্চিত করার তাগিদও দিয়েছেন।
মহিলা পরিষদের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১২ জন কন্যাসহ ১৬ জন। বিভিন্ন কারণে ৯ জন কন্যাসহ ৫৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে দুইজনকে। উত্ত্যক্তের শিকার আট জনের মধ্যে ছয় জন কন্যাশিশু।
রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ৯ জন কন্যাসহ ২৯ জনের, ১৫ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নারী ও কন্যা পাচারের শিকার হয়েছে ২১ জন, এর মধ্যে ১০ জন কন্যা। এক জন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে পাঁচ জন, এর মধ্যে ২ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ১৭ জন।
পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে তিনজন। দুইজন গৃহকর্মীর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে একটি। ছয়জন কন্যাসহ আটজন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। এছাড়াও দুই কন্যাসহ ১১ জন অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছে। তিনজন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে তিনটি। এছাড়া চারজন কন্যাসহ ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।