ঢাকার পূর্বাচলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাখিল করা চার্জশিটের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব এই পরোয়ানা জারি করেন।

দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল রাজউকের নিয়মিত আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে শেখ হাসিনার প্রভাবে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট পেয়েছিলেন। এ সময় শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেয়ের অনুকূলে প্লট বরাদ্দে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, পুতুল ঢাকায় পরিবারের অন্য সদস্যদের মালিকানায় বাড়ি-ফ্ল্যাট থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করে হলফনামা জমা দেন। এ ছাড়া, প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে রাজউকের আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

এ মামলায় আরও অভিযুক্ত রয়েছেন—সাবেক গৃহায়ণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের সহকারী আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, শেখ হাসিনার একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি দুদক এই মামলা দায়ের করে এবং ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেয়। এ নিয়ে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পূর্বাচল প্রকল্পে মোট ছয়টি মামলা চলছে।