Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

বাংলাদেশের নাম পাল্টাতে চায় ইসলামী আন্দোলন

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৩২

বাংলাদেশের নাম পাল্টাতে চায় ইসলামী আন্দোলন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কার বিষয়ক বিভিন্ন প্রস্তাব দেয় ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের নাম পাল্টানোর প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বর্তমান নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জায়গায় ‘পিপলস ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ নাম প্রস্তাব করেছে দলটি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দাবি, নতুন এই নামের মাধ্যমে রাষ্ট্রের জনকল্যাণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে এমন প্রস্তাব দেয় দলটি। মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহম্মেদের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজের কাছে রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কার বিষয়ক বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, প্রকৌশলী মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ও সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে দলটি জানায়, রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবে ইসলামী আন্দোলন একমত। রাষ্ট্রের নাম হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ‘ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ নাম প্রস্তাব করেছে তারা। কারণ এই নামের মধ্যেই জনকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।

ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাব তুলে ধরে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আশরাফ আলী আকন্দ।

দেশের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, “বাংলাদেশের নাম আমরা বলছি পিপলস ওয়েলফেয়ার স্টেট 

অব বাংলাদেশ। একটা জনকল্যাণ রাষ্ট্র। কারণ জনকল্যাণ নামটা দেখার সঙ্গে সঙ্গে কোনো অন্যায়কারীর অকল্যাণমূলক চিন্তা যেন মানুষের মুখে না আসে। এজন্য আমরা এই নামটা প্রস্তাব করেছি।”

ঐকমত্য কমিশনে শরিয়া আইনসহ চারটি মৌলিক প্রস্তাব দেয় দলটি। এসব প্রস্তাবের একটি হলো শরিয়া আইন বাস্তবায়ন। এছাড়া সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন, জাতীয়ভাবে আত্মশুদ্ধি বা শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন করা ও জবাবদিহিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

শরিয়া আইনের বিষয়ে দলটি জানায়, এ আইন সর্বজনীন, পূর্ণাঙ্গ, নির্ভুল নির্ভেজাল, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে অত্যন্ত কার্যকর। ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রতিষ্ঠিত হলে সরকার ভক্ষক না হয়ে রক্ষকে পরিণত হবে। 

ইসলামী আন্দোলন জানিয়েছে, তারা সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, একই ব্যক্তি দল, সরকার ও সংসদ প্রধান না থাকা, ৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির মত প্রস্তাবে একমত।

বিচার বিভাগীয় ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ২১টির সঙ্গেই ইসলামী আন্দোলন একমত পোষণ করেছে। এর বাইরে দলটির পক্ষ থেকে শরিয়া আদালত স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং প্রমাণিত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সম্মতিকে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

দলটি জানায়, জনপ্রশাসন বিষয়ে প্রস্তাবিত মোট ২৬টি সংস্কারের মধ্যে ১২টিতে একমত পোষণ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ৯টি প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে। আর পাঁচটির সঙ্গে আংশিক একমত পোষণ করেছে।

এর মধ্যে বিশেষ করে প্রাদেশিক ও সিটি গভর্নমেন্ট প্রস্তাবের সঙ্গে এবং মেম্বারদের ভোটে চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের ৭০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৬১টি প্রস্তাবে একমত, তিনটিতে একমত পোষণ করেনি। এছাড়া ছয়টিতে আংশিক একমত পোষণ করেছে।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫