‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩১

ছবি- সংগৃহীত
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুন লাগানোর ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যতদ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল এবং সহকারী প্রক্টর এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী।
সহকারী প্রক্টর মো. ইসরাফিল কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে শনিবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে।
শিল্পকর্মগুলো চারুকলা অনুষদের দক্ষিণ পাশের গেটসংলগ্ন প্যান্ডেলের ভেতরে রাখা ছিল। ভোরে কে বা কারা তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ফ্যাসিস্ট মুখাকৃতিটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায় এবং পায়রা মোটিফটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় চারুকলা অনুষদের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনার দোসররা’ এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “হাসিনার দোসররা গতকাল ভোররাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। যারা এই দুঃসাহস দেখিয়েছে—সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী বি-টিম—তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে, দ্রুত।
“শোভাযাত্রা যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। কিন্তু কালকের ঘটনার পর ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ এখন আরও বেশি আবশ্যিক হয়ে উঠেছে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগুন লাগার ঘটনা দুর্ঘটনা নয় বরং ইচ্ছাকৃত।
পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এটির (মোটিফগুলো) চারপাশে প্রচুর ক্যামেরা। আমরা ডিজিটাল রেকর্ডগুলো নিয়ে ফরেনসিক করব। কারা এটি করেছে সেটা ইনভেস্টিগেশনে বের হয়ে আসবে।”