টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় মুহাম্মদ ইউনূস

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২২:৪৩

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ‘টাইম-১০০’ শীর্ষক এই তালিকায় শান্তিতে নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘লিডার বা নেতা’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে।
ছয়টি ক্যাটাগরিতে মোট ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে মার্কিন এই সাময়িকী। নেতাদের তালিকায় মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, ‘লৌহমানবী’ খ্যাত ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো, মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কসহ ২১ জন।
টাইম ম্যগাজিনে প্রকাশিত তালিকায় স্থান পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটি লেখা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
হিলারি ক্লিনটন লিখেছেন, “গত বছর বাংলাদেশের শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রীর পতনের পর দেশকে গণতন্ত্রের দিকে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে এসেছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।”
“কয়েক দশক আগে ইউনূস বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সক্ষম করেছিলেন। এতে লাখো মানুষ, যাদের ৯৭ শতাংশই নারী, ব্যবসা গড়ে তুলতে, পরিবারের ভরণপোষণ করতে ও তাদের মর্যাদা ফিরে পেতে সাহায্য করেছে।”
তিনি ইউনূসের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে লিখেছেন, আমার প্রথম তার সঙ্গে পরিচয় হয় যখন তিনি আর্কানসাসে গিয়েছিলেন তৎকালীন গভর্নর বিল ক্লিনটন ও আমাকে যুক্তরাষ্ট্রে একই ধরনের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে। তারপর থেকে বিশ্বের যেখানেই গিয়েছি, তার কাজের অসাধারণ প্রভাব দেখেছি-জীবন বদলে গেছে, সম্প্রদায়ের উন্নতি হয়েছে, আশার নতুন আলো জেগেছে।
হিলারি তার লেখার শেষে বলেন, এখন ইউনূস আবারও তার দেশের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে নিপীড়নের অন্ধকার থেকে বের করে এনে মানবাধিকার পুনরুদ্ধার করছেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করছেন এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মুক্ত সমাজ গঠনের ভিত্তি তৈরি করছেন।