মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুনের ঘটনায় নিন্দা বাঙলাদেশ লেখক শিবিরের

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৮

আগুনে মানবেন্দ্র ঘোষের একটি টিনশেড পাকা ঘর, একটি মোটরসাইকেল, বেশ কিছু প্রতিমা ও ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
পহেলা বৈশাখে আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ তৈরির কাজে সম্পৃক্ত শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাঙলাদেশ লেখক শিবির।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুঈনুদ্দী আহম্দ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল এই নিন্দা জানান।
মঙ্গলবার গভীর রাতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া বাজার এলাকায় মানবেন্দ্রের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের হওয়া আনন্দ শোভাযাত্রায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখাকৃতি বানানোর অভিযোগে তার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় অনেকের ধারণা।
গত ১২ এপ্রিল দুর্বৃত্তরা আগুন দিলে ফ্যাসিস্টের মোটিফ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবারও মোটিফ তৈরি করা হয়।
ওই ঘটনা উল্লেখ করে বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা জানান, পহেলা বৈশাখের উৎসব পণ্ড করতে না পেরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিভিন্নভাবে জনগণের মধ্যে ভীতি ছাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের রাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
ফ্যাসিস্টদের দোসররা হুমকি দিয়ে আসছে বলে সাংবাদিকদের জানান মানবেন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, “হাসিনার মুখাবয়ব আমি বানাইনি। বানিয়েছি বাঘের মোটিফ।”
লেখক শিবিরের নেতাদের অভিযোগ, পহেলা বৈশাখের আগে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ভাস্কর্য আগুন দেওয়ার ঘটনায় তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়েছিলেন। সেখানে উল্লেখ ছিল যে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের এবং ভারতীয় প্রতিক্রিয়াশীল শাসক গোষ্ঠীর দোসররা পহেলা বৈশাখের উৎসবকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এর বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক থাকার জন্যও তারা আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের মধ্যে যদি কখনও কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ঘরবাড়ি, জানমালের ক্ষতির ঘটনা ঘটে সেটিকে তারা সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে ভারতীয় শাসক গোষ্ঠীর সকল প্রচার মাধ্যম এবং বাংলাদেশের বাম নামধারী দলগুলো প্রতিবাদের ঝড় তুলতে চেষ্টা করে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ওই নেতারা বলেন, ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুনের ঘটনায় ভারতীয় প্রচার মাধ্যম এবং বাংলাদেশের সেই বাম নামধারী দলগুলো ও বিশেষ করে ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের’ কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
লেখক শিবিরের নেতারা জনগণকে ভারতীয় শাসক গোষ্ঠী, ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসরদের সকল অপচেষ্টাকে নস্যাৎ করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।