বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার আইনজীবী জসিম উদ্দিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেছেন। তিনি বলেন, “বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চে রিটটির শুনানি হতে পারে।”

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার, পুলিশের অপরাধ বিভাগের (সিআইডি) প্রধান, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনারকে (অপরাধ) বিবাদী করা হয়েছে।

গত ৯ এপ্রিল ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমানকসহ (ভিকটিম/বাদী/প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিও/অডিও/স্থির চিত্র ও মোবাইলের কল লিস্ট (সিডিআর) ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।”

গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢালাও মামলা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে একসাথে অনেককে। আসামি করা ও আসামি গ্রেপ্তার নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগও উঠেছে।

তথ্যপ্রমাণ ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার না করতে গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদরদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে-সব মামলা হচ্ছে, সেগুলোর প্রাথমিক তদন্তে কারও বিরুদ্ধে সম্পৃক্ততা পাওয়া না গেলে তার নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে।

বিভিন্ন সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও বলেছেন, আগে তদন্ত হবে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলেই কেবল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।