পারভেজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মেহেরাজ রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৪৩

পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত পাঁচদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মেহেরাজের পক্ষে তার আইনজীবী এম এ মালেক তালুকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, “এ ঘটনায় ইতিপূর্বে আরও কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছে। দু'জন আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়ে জানিয়েছে এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে।”
মেহেরাজ এ ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিল না উল্লেখ করে আদালতকে জানানো হয়, ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়নি তাকে। অন্যান্য আসামি তার বন্ধু হওয়ায় তাকে অনুমানের ভিত্তিতে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিতে পারেন।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন বাতিল চেয়ে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এজাহারের এক নম্বর আসামি মেহেরাজ ইসলাম। গত ২৩ এপ্রিল গাইবান্ধা থেকে মেহেরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই মামলায় মাহাথির হাসান এবং আল কামাল শেখ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে।
মামলার অন্য আসামি আলভী হোসান জুনায়েদ, আল আমিন সানি এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজী রিমান্ডে রয়েছে।
৯ এপ্রিল বিকালে রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বিবাদের জেরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়।
টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে চায়ের দোকানে আড্ডার সময় ছোট একটি ঘটনায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে বুকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয় পারভেজকে।
নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীরের করা মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরেও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়।
নিহত পারভেজকে নিজেদের কর্মী দাবি করেছে ছাত্রদল। হত্যার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দাায়ী করেছে তারা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্রদলের দাকি নাকচ করেছে।