
ঘূর্ণিঝড় আমফানে উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৫১ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রাত কাটাচ্ছেন বলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে অধিকাংশ উপকূলীয় এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন বিআরইবি-এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মইনউদ্দিন।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ঝড়ো আবহাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কোথাও গাছ পড়ে তার ছিঁড়েছে, কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য বিতরণ লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে অধিকাংশ এলাকায়।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো। পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৫১ লাখ গ্রাহকের বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ওজোপাডিকো) লাখখানেক গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন। অনেক আশ্রয়কেন্দ্রে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন জানান, আম্পানের প্রভাবে তাদের উপকূলীয় ২২টি সমিতিতে আংশিক বা পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে। এতে পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, যশোর খুলনা, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও বরিশালের কিছু অংশসহ উপকূলীয় জেলাগুলো প্রায় ৫১ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের কাজ চালু থাকলেও, সাতক্ষীরা ও খুলনায় প্রচণ্ড ঝড়ের কারণে সমস্যা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
‘আমরা ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় কাজ মেরামত শুরু করেছি। তবে দমকা বাতাসের কারণে সাতক্ষীরা ও খুলনায় মেরামতের কাজ করতে আমরা সমস্যায় পড়ছি। চার-পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে একটা ধারণা পাব আমরা,’ তিনি যোগ করেন।