দক্ষিণে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে ৮ সদস্যের কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৫০

রবিবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বৈঠকে আগের দিন দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে আট সদস্যের একটি কমিটি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, যাদেরকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বৈঠকে পর এক অফিস আদেশে এ কমিটির গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আব্দুল হাসিব চৌধুরীকে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. এহসান, খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার (রাজস্ব) মো. ফিরোজ শাহ, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (পিঅ্যান্ডডি) মো. শহীদুল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)-এর প্রধান প্রকৌশলী (পরিচালন) মো. আব্দুল মজিদ, সিস্টেম প্রটেকশন ও টেস্টিং কমিশনিং সেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিবি) প্রধান প্রকৌশলী মো. মোহাম্মদ ফয়জুল কবির এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাজহারুল ইসলাম।
কমিটিকে যশোর ও খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি এর পেছনে দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে গ্রিড বিপর্যয় এড়াতে সুপারিশ করতেও বলা হয়েছে।
তীব্র গরমের মধ্যে শনিবার বিকেল ৫টা ৪৫ থেকে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটের মধ্যে যশোর ও খুলনা অঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪৮ মিনিট থেকে বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করে, পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লেগে যায় ছয় ঘণ্টা।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী সাম্প্রতিক দেশকালকে জানান, গোপালগঞ্জের আমিন বাজারে ন্যাশনাল গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় এই ব্ল্যাকআউট হয়।