
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান সারারাত দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে।
সারারাত তাণ্ডব চালানোর পর আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৭টার পর এটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর স্থল নিম্নচাপ হিসেবে রাজশাহীতে অবস্থান করছে আমফান।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের বাতাসের গতিবেগ এখন ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। এটি আরো উত্তরদিকে সরতে থাকবে। এরপর পাবনা, গাইবান্ধার দিকে যাচ্ছে। এটি স্থল নিম্নচাপ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তর দিকে গিয়ে তার শক্তি হারাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়, মধ্যরাতে আমফান ঝিনাইদহ এবং এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছিল। আজ ভোরে এটি আরো উত্তরদিকে সরে এখন রাজশাহী, পাবনা অঞ্চলের দিকে আছে। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের আধিক্য বিরাজ করছে। সাগর এখন উত্তাল। এ কারণে এখনো মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসাথে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জন্য সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আমফান অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫১ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানে সাতক্ষীরায়। এটি ছিল বাংলাদেশে আম্ফানের সর্বোচ্চ গতি বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।
আমফানের মূল অংশ অর্থাৎ কেন্দ্র ভারতের মধ্য দিয়েই যাওয়ার কারণেই প্রথম দিকের ঝড়ের যে তীব্র গতি সেই ধাক্কা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যায়নি।। কিন্তু এর ব্যাস বড় হওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গের একেবারে কাছাকাছি খুলনা, সাতক্ষীরা অঞ্চলে প্রথমে ঝড়ের তীব্রতা দেখা যায়। একইসাথে প্রায় সারাদেশের ওপর দিকে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর রাত যত বাড়তে থাকে, আম্পান উপকূল থেকে তত ওপরে স্থলভাগের দিকে উঠতে থাকে।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আমফান দুর্বল হওয়ার মধ্য দিয়ে শুক্রবার (২২ মে) বৃষ্টিপাত হ্রাস পাবে। আর আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই উন্নতি হবে আবহাওয়া।