-681099f759c41.jpg)
পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫’ উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের অডিটোরিয়ামে এ বছরের পুলিশ সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন তিনি।
তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে উদ্বোধনী দিনে ৬২ জন পুলিশ সদস্যকে পদক প্রদান করা হয়। কৃতিদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই।
এবারের পুলিশ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘আমার পুলিশ, আমার দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সপ্তাহ ঘিরে বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
তারা জানান, প্রতিটি ইউনিট তাদের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ ও অর্জনের কথা উপস্থাপন করবে। পাশাপাশি জনবান্ধব পুলিশ গঠনে নেওয়া হবে একগুচ্ছ পরিকল্পনা— যার মধ্যে রয়েছে লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি, গবেষণা কার্যক্রম জোরদার এবং সাংগঠনিক উন্নয়ন।
বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিটের প্রেজেন্টেশন শুরু হবে। সকাল সোয়া ৯টায় স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ১০টায় সিআইডি এবং পরে র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ, পিবিআই ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের কার্যক্রম উপস্থাপন করা হবে। একই দিন পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে আইজিপির ব্যাজ প্রদান, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্মেলন, নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময়, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও অফিসার্স মেসের বার্ষিক সাধারণ সভা এবং অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী। সন্ধ্যায় আয়োজন থাকবে নৈশভোজের।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) বার্ষিক সমাবেশ ও আনন্দ মেলা। এদিন পুনাকের স্টলগুলোর পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের পুলিশ সপ্তাহ।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি পেশ করা হবে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করে জনসাধারণের জন্য কমপ্লেইন সেল এবং পুলিশের জন্য অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি, এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ ভাতা, স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট গঠন, বিভাগীয় হাসপাতালের জনবল বৃদ্ধি ও আধুনিক সরঞ্জাম, একই পদে দীর্ঘদিন চাকরির পর সুপারনিউমারারি পদোন্নতির সুযোগ এবং মরদেহ দাফন বা সৎকারের জন্য আর্থিক বরাদ্দ।