ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা ‘রেড লাইন’ ক্রস করেছেন লেখা একজনের স্ট্যাটাস কপি করে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেন সারজিস।
স্ট্যাটাসে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। আর দেশের মানুষ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকার দেন অধ্যাপক ইউনূস। সেখানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কারণ, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যখন এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসবে, তখন নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও সামনে আসবে। অন্যান্য অনেক দল বলতেও পারে যে এই আইনের অধীনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না, ইত্যাদি।
প্রধান উপদেষ্টার এমন মন্তব্যের পর ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন সাদিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। পরে তার স্ট্যাটাসটি কপি করে নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন এনসিপি নেতা সারজিস আলম।
অধ্যাপক ইউনূস রেড লাইন ক্রস করেছেন উল্লেখ করে স্ট্যাটাসে লেখা হয়েছে, “এই কথা বলার কোনো অধিকার ডক্টর ইউনূসের নেই। কারণ, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না, সেই ডিসিশন এই দেশের মানুষ নেবে। ৫ আগস্ট মানুষ আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তাদের ডিসিশন জানাইয়া দিছে।
“তারপরও যদি আরও প্রয়োজন হয় গণভোট হোক। গণভোটে মানুষ বলুক আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কি না। বাট কোনোভাবেই আওয়ামী লীগকে এই ডিসিশন নেওয়ার অধিকার দেওয়া যাবে না।”
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে স্ট্যাটাসে লেখা হয়েছে, “ড. ইউনূসকে মনে রাখতে হবে, তাকে আমেরিকা বা ইউরোপের অ্যাম্বেসি ক্ষমতায় বসায়নি, ক্ষমতায় বসাইছে এই দেশের মানুষ। তাকে এই দেশের মানুষের কথামতোই দেশ চালাতে হবে, আমেরিকা বা ইউরোপের কথা মতো না।”
আওয়ামী লীগে সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে সেখানে বলা হয়েছে, “আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল না। এটা একটা সন্ত্রাসী সংগঠন। আওয়ামী লীগের ফিরে আসার ব্যাপারে যে বা যারা হেল্প করতে চাইবে, তারাই জুলাই গাদ্দার হিসেবে পরিচিত হবে।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, “ইউনূস নিজেও যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলে, ইউনূসের বিরুদ্ধে দাঁড়াইতে আমরা এক সেকেন্ডও সময় নেব না।”