প্রবাসীদের ভোটাধিকারে দলগুলোর সমর্থন চায় নির্বাচন কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৫৯

প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন চাইলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে এক সেমিনারে সিইসি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন না পেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সব উদ্যোগ বিফলে যাবে।”
সেমিনারের বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের সম্পাদক, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অংশ নেন।
প্রবাসীদের ভোট প্রসঙ্গে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “পৃথিবীর অনেক দেশে আউট অব কান্ট্রি ভোটিং আছে। তবে অনেক দেশ এটি শুরু করেও পারেনি নানা সমস্যায়। পাশের দেশ ভারতও এখনও এটি চালু করতে পারেনি। আমরা এটি চালু করতে চাই। সীমিত পরিসরে শুরুটা অন্তত হোক।”
সিইসি বলেন, “আমরা পরবর্তী নির্বাচনে অন্তত শুরু করতে চাই। যাত্রা শুরু হোক। অনেক দেশ চালু করেছে, অনেক দেশ চালু করতে পারেনি। আমরা সীমিত পরিসরে চালু করতে চাই। এ জন্য আপনাদের (রাজনৈতিক দল) সমর্থন চাই। আশা করি, সমর্থন পাব।”
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং ও প্রক্সি ভোটিংয়ের যেকোনো একটি পদ্ধতি চালু করতে চাচ্ছে ইসি। সামনের নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা ও বর্তমান ইসির তরফে গত কয়েক মাস ধরেই বলা হচ্ছে।
নাসির উদ্দিন কমিশন প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট পদ্ধতি নিয়ে গত ৮ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি, সমাজক্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজন করে। সেখানে অনলাইন ভোট, প্রক্সি ভোট ও পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি উপস্থাপন করা হয়। এমআইএসটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট তিনটি পদ্ধতি নিয়ে তিনটি প্রতিবেদন দিয়েছে কমিশনে।
এর মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে ‘অ্যাডভাইজরি টিম’ গঠন করেছে ইসি সচিবালয়। গত বৃহস্পতিবার ওই টিমের প্রথম সভার পর অংশীজনের নিয়ে এখন সেমিনার হচ্ছে।
নাসির উদ্দিন বলেন, “আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা আমাদের ওয়াদা। সবার দাবিও এটা আমাদের কাছে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করেছি। দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা ও শিক্ষা সব কিছু পর্যালোচনা করে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। রাজনৈতিক নেতারা সমর্থন না দিলে কোনো কিছুই বাস্তবায়ন হবে না। মানুষের আস্থা যেন থাকে, কম খরচে যেন বাস্তবায়ন করতে পারি সেই পদ্ধতি বেছে নিতে হবে।'”
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “প্রবাসীরা ভোট দিতে না পারলে ভোটের কাস্ট হারে প্রভাব পড়ে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নির্বাচন কমিশন। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চাই। এই উৎসবে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। তবে রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পেলে কোনো চেষ্টায় সফল হবে না।”