একটি ইংরেজি দৈনিক দেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে: মাহমুদুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ১৮:৪৩

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত সেমিনারে মাহমুদুর রহমান। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা করেছেন দৈনিক ‘আমার দেশ’-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
শনিবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “এরা সাংবাদিকতা নষ্ট করে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার দালালি করছে। এগুলো আর সংবাদপত্র নয়, বরং রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার হাতিয়ার হয়ে উঠছে।”
তিনি বলেন, “একটি ইংরেজি দৈনিক দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ২০০১-২০০৬ সালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা ছড়িয়েছে, যার ফলাফল ছিল ওয়ান-ইলেভেনের মত এক অন্ধকার অধ্যায়। আজ তারা আবারও একই ন্যারেটিভ তৈরিতে সক্রিয়।”
সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ না করে আমাদের দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, “ইংরেজি দৈনিক সংবাদপত্রটি দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ছড়াচ্ছে।”
সংস্কৃতি উপদেষ্টার সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে তিন সাংবাদিকের সাজানো প্রশ্নের প্রসঙ্গ টেনে দৈনিক ‘আমার দেশ’ পত্রিকার এই সম্পাদক বলেন, “এটি স্পষ্ট যে, এই সাংবাদিকেরা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার প্রেক্ষাপট তৈরি করছে যা জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আজ ওই ইংরেজি দৈনিকের হেডলাইন আর সেই প্রশ্ন—দুটোই একই সূত্রে গাঁথা।”
প্রকৃত সাংবাদিকদের কেউ পছন্দ করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই সরকারের আমলেও আমি জেল খেটেছি। একজন কালো টাকার মালিক আমার নামে মামলা করেছে। ৫ দিন জেলে ছিলাম মিথ্যা মামলার কারণে। কোনো প্রতিবাদপত্র ছাড়াই মামলা, আর আদালতও যেন অপেক্ষা করছিল সমন জারি করার জন্য। এটি প্রমাণ করে কালো টাকার মালিকেরা এখনও সংবাদ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। যদিও পরে আবার তিনি তা প্রত্যাহার করেছেন।”
প্রবাসে সাড়ে ৫ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দেশে আসেন মাহমুদুর রহমান। এরপর গত ১০ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাপুত্র জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় আপিলের রায়ে খালাস পান।
গণমাধ্যমকে নিয়ে বিএনপির ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার দেশ যখন আবার বের হলো, সেই দিনই বিএনপির মিডিয়া সেল বয়কটের আহ্বান জানালো। তাহলে কি তারাও ফ্যাসিবাদকে ধারণ করছে?”
সেমিনারে ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি আব্দুল গনি চৌধুরী বলেন, “শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে কিছু সাংবাদিক। তারা সাংবাদিক নয়, খুনি।”
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন্দ বলেন, “এই সাময়িক মুক্তির সময়টা কাজে না লাগালে ফের কালো রাত নেমে আসবে। কালো আইন আর ফ্যাসিবাদের জন্য সাংবাদিকরাই দায়ী থাকবে।”