ঘূর্ণিঝড় আমফান: দক্ষিণের পাঁচ জেলায় ৯ জনের মৃত্যু

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মে ২০২০, ১৪:০০

দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। এতে দক্ষিণের পাঁচ জেলায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া বিধ্বস্ত হয়েছে অনেক ঘর-বাড়ি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান জানা যায়নি।
নিহতদের মধ্যে দুইজন পটুয়াখালী, দুইজন ভোলার, একজন বরিশাল, একজন বরগুনা ও তিনজন পিরোজপুরের। এদের মধ্যে দুইজনের মত্যু হয়েছে ট্রলার ডুবিতে, দুইজনের মৃত্যু হয়েছে গাছের নিচে চাপা পড়ে, একজনের মৃত্যু দেয়াল ধসে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে জোয়ারের পানিতে ডুবে, একজনের মৃত্যু হয়েছে নদীতে ডুবে।
জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন এসব তথ্য নিশ্চিৎ করেছে।
বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ রকিব উদ্দিন জানান, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার দরির চর খাজুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইমন (১৬) নামের কিশোর বুধবার বিকালে নদীতে গোসল করতে নামে। এসময় ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে সে ডুবে যায়। রাত ১০ ঘটার দিকে তার লাশ নদীতে ভেসে উঠে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমফানের প্রভাবে এ জেলায় মৃত্যু হওয়া দুইজনের একজন গলাচিপা উপজেলার বাসিন্দা শিশু রাসেদ (৬) ও অপরজন কলাপাড়ার সিপিপি কর্মী শাহ আলম (৫৫)।
গলাচিপা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় উপজেলার পানপট্টি এলাকায় ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ছয় বছরের শিশু রাসেদ মারা যায়।
অপরদিকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে গিয়ে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ হয় সিপিপি কর্মী শাহ আলম। পরে সন্ধ্যায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে দমকল বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে ভোলায় রাতে গাছচাপায় ও ট্রলারডুবিতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলাধীন মেঘনা নদীর রামদাসপুর চ্যানেলে ৩০ যাত্রীসহ একটি ট্রলার ডুবে রফিকুল ইসলাম নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত রফিক বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম এলাকার বাসিন্দা।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দেয়াল ধসে, পা পিছলে পড়ে ও আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বরগুনা সদর উপজেলার পরীরখান বাজার এলাকার জোয়ারের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মোহাম্মদ শহীদ (৬০) নামে এক ব্যক্তির। বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় তাণ্ডব শুরু করে আমফান। প্রচন্ড বেগে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টির কারণে উপকূলীয় জেলা-উপজেলাগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।