Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

পুলিশের কাছে রাইফেল থাকবে ‘মারণাস্ত্র না’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ১৯:০০

পুলিশের কাছে রাইফেল থাকবে ‘মারণাস্ত্র না’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে পুলিশের গুলির ব্যবহার নিয়ে তুমুল সমালোচনা আছে।

পুলিশের হাতে আর মরণাস্ত্র থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বলেছেন, তাদের কাছে থাকা মরণাস্ত্র জমা দিতে হবে।

সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “সিদ্ধান্ত নিয়েছি পুলিশের হাতে যাতে আর কোনো মরণাস্ত্র না থাকে। এগুলো তাদের জমা দিয়ে দিতে হবে।… অস্ত্র থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যদের হাতে।”

অবশ্য ‘মারণাস্ত্র’ বলতে কী বুঝিয়েছেন, সেটি বলেননি তিনি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, “পুলিশের কাছে রাইফেল ও থাকবে না তা নয়। তাদের কাছে রাইফেল থাকবে।”

গত বছরের জুলাই-আগস্টে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সরকারি হিসাবে আট শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় পুলিশের ব্যাপক হারে গুলি করা নিয়ে সমালোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এক সংবাদকর্মী প্রশ্ন রাখেন, পুলিশ যখন কোনো অভিযানে যাবে, তখন তা কীভারে হবে?

জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমি একটা কথা বলেছি যে, এপিবিএন ব্যাটালিয়নের কাছে মারণাস্ত্র থাকবে। সাধারণ অপারেশনে তো পুলিশের মারণাস্ত্রের দরকার নেই। এপিবিএন পুলিশের একটি অংশ। কিন্তু পুলিশের কাছে রাইফেল থাকবে।”

কবে থেকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে?- এই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আজকে কেবল মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলো। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নও তো একটু সময় লাগে।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিই পুলিশকে মারণাস্ত্র না দেওয়ার বিষয়টিও দেখবে, বলেন উপদেষ্টা।

র‌্যাব থাকবে কি না সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি

র‌্যাব থাকবে কি না নির্ধারণ করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “র‌্যাব পুনর্গঠন কীভাবে হবে, এটা এই নামে থাকবে কি না, এই ড্রেস থাকবে কি না বা এই ফোর্স থাকবে কি না, বা কীভাবে এটা অর্গানাইজড হবে এজন্য একটা কমিটি করে দিয়েছি।”

একজন উপদেষ্টার নেতৃত্বে এই কমিটি হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “কয়েকটি বাহিনী প্রধানদের এটার সদস্য করে দেওয়া হয়েছে। কমিটির মোট সদস্য ৫ বা ৬ জন, তারা প্রয়োজনে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।”

এই বৈঠকে বেশিরভাগ আলোচনা র‍্যাব পুনর্গঠন নিয়ে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া ৫ জন ভারতীয়

বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, এখনও বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মানুষজনকে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

গত কয়েকদিনে বিএসএফ যে ২০২ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচজন ভারতীয় বলেও জানান তিনি।

“বিষয়গুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে”, বলেন বিজিবি মহাপরিচালক।





Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫