জুডিসিয়াল সার্ভিসের স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতাসহ দুই দফা দাবিতে ২২ ও ২৩ জুন ‘অর্ধদিবস’ কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর পুরান ঢাকার একটি রেস্তরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা।

বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন ভাতা প্রদান ও ব্লকপদ বিলুপ্ত করে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো. রেজোয়ান খন্দকার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. সালাউদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রেজোয়ান খন্দকার বলেন, “ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৫ মে সারাদেশে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীরা নিজ নিজ আদালত প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে। তবে আমাদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি৷”

সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২২ ও ২৩ জুন দুই দিন সারাদেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীরা ‘অর্ধদিবস’ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবেন। এরপরেও দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার কথা উল্লেখ করে রেজোয়ান খন্দকার বলেন, “বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর শুধুমাত্র বিচারকদের জন্য ছয়টি গ্রেড রেখে পৃথক পে-স্কেলসহ নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও সহায়ক কর্মচারীরা পে-স্কেলের আওতাভুক্ত করা হয়নি।”

“বিচারকদের সঙ্গে আদালতের সহায়ক কর্মচারীরা একই দপ্তরে কাজ করা সত্ত্বেও জুডিসিয়াল সার্ভিস পে-স্কেলের আলোকে বিচারকদের বেতন-ভাতাদি দেওয়া হলেও সহায়ক কর্মচারীরা জনপ্রশাসনের আলোকে বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন,” বলেন তিনি।

বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের এই নেতা বলেন, “বিচারকদের জন্য বিচারিক ভাতা, চৌকি ভাতা, ডিসেম্বর মাসে দেওয়ানি আদালতের অবকাশকালীন দায়িত্ব ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা দেওয়ার বিধান থাকলেও বিচার সহায়ক কর্মচারীরা অনুরূপ কোনো ভাতা পান না।”