আমফানে দক্ষিণাঞ্চলের মৎস্যখাতে ১৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মে ২০২০, ১৬:৩৭
-5ec659e858f2b.jpg)
সুপার সাইক্লোন আমফানের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বরিশাল বিভাগ জুড়ে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কোন দপ্তর। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে বলে দাবি জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের।
তবে আমফানের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে মৎস্যকুলের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছেন মৎস্য সম্পদ বিভাগ বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আজিজুল হক।
তার দাবি প্রাথমিকভাবে বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলায় ১৯ হাজার ২৪টি খামার, ঘের ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমফানে। আর আর্থিক ক্ষতির মূল্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, বুধবার বিকেলের পর থেকে পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা এবং বরিশালের উপকূলীয় এলাকায় আমফানের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস হয়। এর ফলে নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এর ফলে ১৯ হাজার ২৪টি পুকুর, ঘের, খামারের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া কিছু নৌকা এবং জালের ক্ষয়ক্ষতি হলেও সেটার নির্দিষ্ট সংখ্যা বা পরিমাণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
এদিকে বিভাগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলায় আমফানের প্রভাবে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের পোস্ট ভেঙে যায়। এর ফলে বুধবার সন্ধ্যার পূর্বে থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় গোটা বরিশাল জেলা। বন্যা পরবর্তী বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল ৭টার পর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু হয়। বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৯৫ ভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে বলে দাবি বিদ্যুৎবিভাগের।
অপরদিকে বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, কাঁচা ঘর-বাড়ি, বেড়িবাঁধ, মৎস্য ও কৃষি সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে স্ব স্ব দপ্তর কাজ করছে। তাছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুর দুই পর বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া এবং কালিজিরা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারকে টিন ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, বিভাগে মোট ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৩ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। এছাড়া ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৪টি গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছিল। সকাল ৭টার পর থেকে তারা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানান তিনি।