ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ক্রমাগত বৃষ্টি হওয়ায় সুনামগঞ্জ সীমান্ত অঞ্চলের যাদুকাটা, রক্তি, বৌলাই, চলতি ও চেলা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে তাহিরপুর উপজেলার পঁচাশোল হাওরের ৬ একর জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। রবিবার (২৪ মে) সকাল থেকে সুনামগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা যায়, জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের পঁচাশোল হাওরে আমতৈল, পুরানঘাট, শান্তিপুর, হলহলিয়া, ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা ব্রি আর-২৯ ধান চাষ করেছিলেন। হঠাৎ করে পাহাড়ি ঢল আসায় তাদের ৬ একর জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে অনেক কৃষক পানিতে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধান কাটছেন।    

পঁচাশোলা হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আশরাফুল ইসলাম আকাশ জানান, তিনি ভেবেছিলেন ঈদের পর ধান কাটবেন কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন পাহাড়ি ঢলে সব পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতীয় অংশের চেরাপুঞ্জিতে ৩২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণে সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী যাদুকাটা, রক্তি, বৌলাই, চলতি ও চেলা নদীতে পানি বেড়েছে। এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নদীর পানি আরো বাড়তে পারে।

সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুর রহমান জানান, রবিবার সকালে পানি বিপৎসীমার ৬.৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুনামগঞ্জ শহরের পাশ বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর ষোলঘর অংশে সাধারণ বিপদ সীমা ৬.০৫ সেন্টিমিটার। চেরাপুঞ্জিতে গত দুই দিন যেভাবে বৃষ্টি হয়েছে, এভাবে বৃষ্টিপাত হলে নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকবে। আর নদীর পানি বাড়ায় হাওরে নৌ চলাচেলের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় অংশের বাঁধ কেটে দেয়া হচ্ছে।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান-উদ-দোলা জানান, আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি এই পানি থাকবে না। পাহাড়ি ঢলের পানির চাপ এখন বেশি থাকায় জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এই পানি ধীরে ধীরে কমে যাবে আর এর মধ্যে কৃষকরা এখন ধান কাটছে। আর পানি কমে গেলেই ডুবে যাওয়া ধান কেটে ফেলবে। আশা করছি কোনো ক্ষতি হবে না।