
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নগর হাসপাতালে তাকে নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিসের পর ‘ও পজিটিভ’ ব্লাড গ্রুপের ২০০ মিলি প্লাজমা দেয়া হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নগর হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সাইমুম আরাফাত পান্থ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তিনি প্রতি সপ্তাহে তিনবার করে ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন। বুধবার (২৭ মে) তার পিসিআর টেস্ট করার সম্ভাবনা আছে। জ্বর আগের থেকে কমলেও এখন তার কাশি বেড়েছে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী এখনো হোম আইসোলেশনেই আছেন। বিকেল ৩ থেকে ৫ টা পর্যন্ত তার কিডনি ডায়ালাইসিস করা হয়। এরপরেই প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়।
মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সন্ধানী’ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহায়তায় এ প্লাজমা ট্রান্সফিউশন সম্পন্ন হয়েছে। সন্ধানীর সেচ্ছাসেবীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্লাজমাদাতা খুঁজে বের করা হয়।
রবিবার (২৪ মে) পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা পজিটিভের বিষয়টি নিশ্চিত হন। আক্রান্তের বিষয়ে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গতকাল ইফতারের আগে আমার জ্বর আসে সেই সঙ্গে কাশি দেখা দেয়। এরপর গণস্বাস্থ্যের কিট দিয়েই পরীক্ষা করি। আর এন্টিজেন পজিটিভ আসে। আমি করোনায় আক্রান্ত হবার কারণে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনে চলে যাই।
তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্যের কিট আছে বলেই সঙ্গে সঙ্গে জানতে পেরেছি। না হলে আমি ১শ' জনকে আক্রান্তও করে ফেলতে পারতাম। ভালো আছেন জানিয়ে রোগমুক্তির জন্য সবার কাছে দোয়া চান।