Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

যশোরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

Icon

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২০, ১৯:৩২

যশোরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

যশোরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে দোকানপাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গণ-পরিবহনের বিষয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

বুধবার (২৭ মে) সকাল ১১টায় যশোর সার্কিট হাউজ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ।

কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি লে. কর্নেল নেয়ামুল হালিম, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপকুমার রায়, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান এখন থেকে মালিকরা ইচ্ছে করলে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে। তবে অবশ্যই বিকাল ৪ টার পরে বন্ধ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রত্যেক দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরস্পরের সঙ্গে নির্ধারিত দূরত্বও বজায় রাখতে হবে। এর আগে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ২৭ এপ্রিল যশোর জেলাকে লকডাউন করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন জেলা প্রশাসক ও করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আরিফ।

প্রায় দুই সপ্তাহ পর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ মে দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তখন ঈদবাজারে মানুষের চাপ ক্রমে বাড়তে থাকে এবং ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে চলাচল অব্যাহত রাখে। সেই সাথে জেলায় প্রতিদিন বাড়তে থাকে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসক ও করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি ১৭ মে নির্বাহী আদেশে জারি করে ১৯ মে থেকে ফের দোকানপাট বন্ধ করে।

সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, বুধবার অনুষ্ঠিত সভায় দোকানপাট খোলা এবং শহরের শংকরপুর এলাকার ডিজিএল হসপিটালকে অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। টিবি হাসপাতালকে যেভাবে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে, সেভাবেই চলবে। বাড়তি হিসেবে ডিজিএল হাসপাতালকে ব্যবহার করা হবে। বেসরকারি ডিজিএল হসপিটালে অপারেশনের সুবিধা আছে। যদি কোনো রোগীর শরীরে অস্ত্রোপচার করতে হয়, তাহলে সেখানে অস্ত্রোপচার করা যাবে।

সিভিল সার্জন আরো জানান, বুধবার পর্যন্ত যশোরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত মোট ১০০ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ মারা যাননি। অনেকে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫