
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাতনামা এক রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারি নিহত হয়েছে; এসময় ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১ জুন) ভোরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের গোদা লেক সীমান্ত এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানান বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক (পরিচালক) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।
তবে নিহত মাদক পাচারকারি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বলে তথ্য জানালেও তার নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি বিজিবির এ অধিনায়ক।
লে. কর্নেল আলী হায়দার বলেন, ভোরে মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ইয়াবার বড় একটি চালান আসার খবরে বিজিবির একটি দল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের গোদা লেক এলাকায় অবস্থান নেয়।
এক পর্যায়ে মিয়ানমার দিক থেকে আসা ৮/১০ জন সন্দেহজনক লোককে দেখতে পেয়ে বিজিবির সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেয়। এতে বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে মাদক পাচারকারিরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ সময় বিজিবির সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে।
উভয়পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে মাদক পাচারকারিরা মিয়ানমার দিকে পালিয়ে যায়। গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল তল্লাশি করে পাওয়া যায় ৮০ হাজার ইয়াবা, দেশিয় তৈরী ১ টি লম্বা বন্দুক ও ২ টি গুলি।
তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করার পর উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আলী হায়দার জানান, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে বিজিবির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে উখিয়ার ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গা বলে জানালেও নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির এ অধিনায়ক।