
শেরপুরে ঢাকাসহ দূর পাল্লার যাত্রীবাহী বিভিন্ন বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব কিছুটা মানা হলেও মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি। এছাড়া ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধির পরও শেরপুর থেকে ঢাকার ভাড়া নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত হারে।
শেরপুর-ঢাকার বর্ধিত ভাড়া হয় ৪৮০ টাকা কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে কাউন্টারে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
এদিকে ১ জুন সোমবার সকালে শহরের নতুন বাস টার্মিনালে শেরপুর-ঢাকা সোনার বাংলা কাউন্টারে পরিদর্শনে আসেন শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজি আশরাফুল আজীম।
এসময় তিনি বাসগুলোতে শারীরিক দূরত্ব রেখে যাত্রী পরিবহনে কিছুটা সন্তোষ প্রকার করলেও স্বাস্থ্যবিধির জন্য কোন প্রকার হ্যান্ড সেনিটেশন বা জীবাণু নাশক স্প্রে থা থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বাসের ভিতর দুই সিটে একজন করে যাত্রী বসলেও বাইরে কাউন্টারের সামনে টিকিটের জন্য শারীরিক দূরত্ব না মেনে দীর্ঘ লাইন এবং যাত্রী বাসে উঠার সময় মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব।
তবে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানায়, দীর্ঘদিন পর যান চলাচল শুরু হওয়ায় এসব কেনা হয়নি। তবে কাল থেকে সকল বাসে হ্যান্ড সেনিটাইজার ও জীবাণু নাশক স্প্রে ব্যবহার করা হবে।
এদিকে ভাড়া বৃদ্ধি করার পরও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগ করেন উপস্থিত অনেক যাত্রীরা। যাত্রীরা উপস্থিত শ্রমিকদের সামনেই অভিযোগ করায় তারা বলেন, ভাংতি না থাকায় মাত্র ২০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। তবে কেউ ভাংতি দিলে তার কাছ থেকে ভাড়া বেশি নেয়া হয় না।
এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বাসকোচ মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুজিদ চন্দ্র ঘোষ জানায়, আমরা ভাড়া সঠিক নিচ্ছি এবং যেসব গাড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না এবং সেনিটাইজার নেই সেসব বাস আগামীকাল থেকে ব্যবস্থা না নিলে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।