Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

চাঁদপুর মসজিদে অনুদান বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

Icon

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২০, ০২:৪৪

চাঁদপুর মসজিদে অনুদান বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

চাঁদপুরে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জেমদের মধ্যে অনুদান বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইসলামী ফাউন্ডেশনের সাধারণ কেয়ারটেকার মাওলানা গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন। পরে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল পরিস্থিতি শান্ত করেন।

বুধবার (৩ জুন) বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদে অনুদানের টাকা বিতরণকালে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আর্থিত অস্বচ্ছলতা দূরীকরণে মামনীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চাঁদপুরে ৪ হাজার ৮৯৫টি মসজিদের অনুকূলে ইমাম মোয়াজ্জেমদের ২ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। চাঁদপুরে ৭ উপজেলায় এই অনুদানের টাকা সরাসরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে চেক বিতরণ করা হলেও কেবলমাত্র চাঁদপুর সদরে (পৌরসভার সহ) ৬৭৯টি মসজিদে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান নিজে উপস্থিত থেকে এই অনুদানের নগদ টাকা বিতরণ করেন। ফলে ৭ উপজেলায় চেক ও সদর উজেলায় নগদ অর্থ দেয়া এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা না থাকা নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদে অনুদানের টাকা বিতরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় বেশকিছু মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জেম ও কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করে বলেন, ইসলামী ফাউন্ডেশনের সাধারণ কেয়ারটেকার মাওলানা গোলাম মোস্তফার কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে মনগড়া মসজিদের তালিকা করেছেন। এখানে বহু গায়েবি নাম তালিকায় রয়েছে, যেসব মসজিদ বা ইমাম, মোয়াজ্জেমকে কেউ চিনে না। অথচ বহু পুরানো ও প্রতিষ্ঠিত মসজিদের নাম তালিকায় নেই।

তারা আরো অভিযোগ করেন, যে তালিকা করার সময় ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাঠকর্মীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নেননি, কিংবা তাদেরকে অবগতও করেননি। যার ফলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান পরিস্থিতি শান্ত করতে বলেন, বাগাদী ইউনিয়নে অনেক মসজিদের নাম বাদ পড়েছে। চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে আমাদের সমন্বয় করা হয়নি, তাই সবকিছু এলোমেলো হয়েছে, এই জন্য আমি দুঃখিত। আমাদের সাধারণ কেয়ারটেকার মাওলানা গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার যে অভিযোগ উঠেছে, তার বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়নে ১০৫টি মসজিদের মধ্যে ৭১টি মসজিদে অনুদান দেয়া হয়। বাকী মসজিদগুলোতে পরবর্তী সময়ে দেয়া হবে।

৭ উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে চেক দেয়া এবং সদর উজেলায় নগদ অর্থ দেয়া বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, ৭ উপজেলায় আমাদের অফিস এবং মাঠকর্মী নেই। তাই সেখানে নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে চেকে টাকা দেয়া হয়েছ। আর সদরে নগদ অর্থ দেয়া হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।

এ সময় বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, আমাদের জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলেম-ওলামাদের অনেক সম্মান করেন। এজন্যই এই মহামারি দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে তিনি ইমাম মোয়াজ্জেমকে সহযোগিতা করার জন্য ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছেন। অথচ ইসলামী ফাউন্ডেশনে মাঠকর্মীদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সরকারের এমন একটি সুন্দর কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। যা সত্যিই দুঃখজনক।

তিনি আরো বলেন, আমার ইউনিয়নে ইতোমধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারে বহু সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনোরূপ বিতর্ক হয়নি। ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাঠপর্যায়ের দায়িত্বশীলরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি। কিছুদিন আগেও আমাদের মাননীয় এমপি ও শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে প্রতিটি মসজিদের ইমামদের ১ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। সে তালিকাটি ফলো করলেও এমন বিতর্কের সৃষ্টি হতো না।

এদিকে সবশেষে ইউনিয়নে ৭১টি মসজিদের মধ্যে প্রায় ৬০টির মতো মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জেনকে ৫ হজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়। ত্রুটিপূর্ণ নাম ঠিকানা হওয়ায় বাকি মসজিদগুলোতে অনুদান দেয়া হয়নি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫