লালমনিরহাটে অবশেষে পানি পরীক্ষাগারের কাজ শুরু

লালালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২০, ১৫:১২

ছবি: লালালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাট ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পানি পরীক্ষাগারের কাজ শুরু হয়েছে। এতে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পানি পরীক্ষায় পানিবাহিত নানাবিধ রোগ হতে মুক্ত থাকার পাশাপাশি জনগণ নাগরিক সুবিধা পাবে।
জানা গেছে, সরকার দেশের ৮টি বিভাগের অধীনস্থ ৫২ জেলায় পানির গুণগত মান পরীক্ষার জন্য পানি পরীক্ষাগার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই ৫২ জেলার মানুষ পানের জন্য সুপেয় বিশুদ্ধ পানি পাবেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৫২ জেলার মধ্যে ৫১ টি জেলায় কাজ শুরু হলেও লালমনিরহাটে পানি পরীক্ষাগারের কাজ শুরু হয়নি।
তাই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুজ্জামান অন্যান্য জেলার ন্যায় লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পানি পরীক্ষাগারের কাজ শুরু করেন। যার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হলো, মেসার্স দৌলা এন্ড কোং, আলমনগর, রংপুর। ৪ তলা ভিত্তিতে ২ তলার কাজ বাস্তবায়নে ৫৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন সরকার।
এ জেলার ৫টি উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতা রয়েছে। তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পানি পরীক্ষা করার জন্য রংপুর ও রাজশাহী যেতে হতো। কিন্তু কাজটি বাস্তবায়িত হলে এসব সমস্যা আর থাকবে না। খুব দ্রুত নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। নতুন পানি পরীক্ষা কার্যক্রম শক্তিশালী, গতিশীলতা বাড়ানো, পানি পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
একটি সূত্র জানান, লালমনিরহাটে পানি পরীক্ষাগারের কাজ চলতি জুন মানের মধ্যে শুরু করতে না পারলে বাজেট ফেরত যেত। তাই দ্রুত পরীক্ষাগারের স্থান নির্ধারণ করায় ২টি মেহগনির গাছ নির্মাণাধীন এলাকার ভিতরে পড়ে যায়। তাই বন বিভাগসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মেহগনি গাছ ২টি কেটে অফিসে রাখা হয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি মহল ২টি মেহগনি গাছের বিপরীতে ৮/১০টি গাছ বিক্রির অভিযোগ তুলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পার্বতীতে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী গাছ ২টি বিক্রি করা হবে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুজ্জামান বলেন, নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন পানি পরীক্ষাগারের সামগ্রিক সক্ষমতা বাড়াতে প্রকল্পটির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য।
চলতি জুন মাসের মধ্যে পানি পরীক্ষাগারের কাজ শুরু করতে না পারলে বাজেট ফেরত যেত। তাই দ্রুত পরীক্ষাগারের স্থান নির্ধারণ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ২টি মেহগনি গাছ কেটে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চলতি উন্নয়ন কাজের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে গাছ বিক্রির অভিযোগ তুলেন, যা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। উন্নয়ন কাজের স্বার্থে কর্তনকৃত গাছ ২টি অফিস গ্যারেজে সংরক্ষিত করা হয়েছে।