Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

আমফানে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

Icon

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২০, ১৭:২৮

আমফানে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ছবি: বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের শরনখোলায় ঘূর্ণিঝড় আমফানে ভাঙা বেড়িবাঁধ থেকে জোয়ারের পানি ঢুকে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।

২০ মে বাংলাদেশের উপকূল জুড়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আমফানের পানি নেম যাওয়ার পরে প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল ওই এলাকার জনজীবন।

শনিবার (৬ জুন) বেলা ১১টার জোয়ারে ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে বগী গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।

পূর্ণিমার কারণে বর্তমানে বলেশ্বর নদীতে পানির চাপ বেশি। যতদিন পানির চাপ যতদিন বেশি থাকবে ততদিন জোয়ার ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে পানিতে প্লাবিত হওয়া মানুষদের। খুব শীঘ্রই ভাঙা স্থানগুলোর মেরামত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তাফা শাহিন।

এদিকে বারবার ঝড় জলোচ্ছ্বাসে জানমাল হারানো শরণখোলাবাসী বলছেন, অনেক দেখেছি, অনেক শুনেছি, অনেক আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু বাঁধ নির্মাণ হয়নি। জড় জলোচ্ছ্বাসে পানিতে ভেসে যাই। এভাবে আর কতদিন। ছেড়ে দিয়েছি বাঁধ নির্মাণের আশা। এভাবে যতদিন থাকা যায়।

বগী গ্রামের শাহজাহান বলেন, আমফানের ফলে পানিবন্দি কয়েকদিন ছিলাম। অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করেছি। কিন্তু আজ আবার হঠাৎ করে জোয়ারের পানিতে আমাদের বাড়িঘর প্লাবিত হল। এভাবে হতে থাকলে আর কয়দিন বাঁচা যাবে।

স্থানী ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। যার ফলে এখন থেকে পানি না কমা পর্যন্ত এখানের মানুষদের জোয়ার-ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে। রান্না বান্নার কাজ রয়েছে বন্ধ। যাদের সুযোগ রয়েছে তারা নিজের বাসস্থান পরিবর্তন করেছে। পানি কমলে আবার আসবে। এই অবস্থায় দ্রুত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা না হলে এই এলাকা মানুষ বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তাফা শাহিন বলেন, খুব শীঘ্রই ভাঙা স্থানগুলোর মেরামত শুরু করা হবে। যাতে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকতে না পারে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ করা হবে।

২০ মে ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলার বগি ও গাবতলা গ্রামের প্রায় ২ কিলোমিটার বাঁধ বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫