
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে (কুমেক) কিট সংকটের কারণে গত দুইদিন ধরে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা হচ্ছে না।
এতে নমুনা সংগ্রহ করাও স্থগিত রেখেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আগে সংগ্রহ করা এক হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।
কুমেক সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল থেকে কুমেকে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। চালুর পর এ পর্যন্ত ছয় ৯০০টি কিট কুমেক কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, কুমেকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুরুতে কাজ শিখতে গিয়ে প্রায় ২৮ কিট নষ্ট করে ফেলে। প্রতিটির কিটের মূল্য ৪০০০ টাকা। কিট সংকটের কারণে ৫ জুন অর্ধবেলা, শনিবার ও রবিবার পুরো দিন কুমেকে করোনার পরীক্ষা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে গত বৃহম্পতিবার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কুমেকের ল্যাবের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে জানান, কুমেকে পজিটিভ হওয়া ১০ জন ঢাকায় নেগেটিভ হয়েছেন। এ নিয়েও জেলায় নানা আলোচনা-সামলোচনা চলছে।
কুমিল্লা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়ক ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, কুমেকে পরীক্ষা বন্ধ, তাই আমরাও আপাতত নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রেখেছি। খুব জরুরি না হলে এখন আমরা নমুনা নিচ্ছি না।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ বলেছেন, কিট সংকটের কারণে রবিবারও পরীক্ষা করতে পারিনি। এক হাজার নমুনা পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে। কুমিল্লা ল্যাবের জন্য রবিবার বিকেলে ঢাকা থেকে কিট পাওয়া গেছে। সোমবার থেকে কাজ শুরু করতে পারব।
কিট নষ্ট বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে কিছু কিট নষ্ট হয়েছে। করোনা ইউনিটে আমরা প্রথম ছয়জনকে নিয়োগ দিয়েছিলাম। জনবল সংকটের জন্য পরে অন্য বিভাগ থেকে আরো ছয়জন লোক নিয়ে এসেছি। এ বিভাগে এখন প্রয়োজনের অর্ধেক লোক রয়েছে। -ইউএনবি