পাবনায় আ.লীগ নেতার বাড়িতে গৃহকর্মীকে হত্যার অভিযোগ

পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২০, ১৯:১৬

পাবনার মহেন্দ্রপুরে এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর চারতলা থেকে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৯ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পাবনা কেন্দ্রী বাসটামিনাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মালেকা খাতুন (৩০) সদর উপজেলার লোহাগাড়া চমরপুর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মহেন্দ্রপুর এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আলিমের বাড়িতে মোবাইল ফোন হারানোকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী লাকি খাতুন ও লাকির মা এই নির্যাতন চালায়। পরে তারা ছাদ থেকে ফেলে তাকে হত্যা করা হয় বলেও জানান তিনি।
এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিবারের সাথে আলাপ করে জানতে পারি নিহত ওই কাজের মহিলা ছাদে কাপড় শুকাতে দিতে গিয়ে নীচে পড়ে গিয়ে নিহত হন। তবে এই আলীমের কোন পদ পদবী এখনো নিশ্চিত না হলেও সে এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা বলে প্রচার আছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, গৃহকর্মী মালেকা খাতুনকে মারা যাওয়ার সাথে সাথেই মৃতদেহ তুলে হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালে খোঁজ নিয়েও মৃত মালেকার মরদেহ পাওয়া যায়নি।
তারা আরো জানান, ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হাসপাতালে নেয়ার নামে তালবাহানা করে বিভিন্ন স্থানে ঘুরানোর পর নিহতের গ্রামের বাড়িতে মরদেহ রেখে আসা হয়েছে। ছাদ থেকে পড়ে গেলে পরিবারের লোকজন কোন প্রকার চিকিৎসার করা কিংবা পুলিশ প্রশাসন কাউকেই কিছু অবহিত করেন নাই।
পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ও পাবনা সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেছেন।
বাড়ির মালিক আলীমের স্ত্রী লাকি খাতুনকে বিষয়টি জানতে চাইলে কিছু না বলে লুকানোর চেষ্টা চালায়, এবং কোন কিছু বলতে রাজী হননি।
এ বিষয়ে পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার পরপরই বাড়ির মালিক আব্দুল আলীম পলাতক রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছি। নিহতের মরদেহ কোথায় আছে জানি না। খোঁজ করছি। পেলে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে কি না বুঝতে পারবো। তারপরেই বিস্তারিত বলা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টা করছেন এই পরিবার।
এ বিষয়ে ওসি নাসিম আহম্মেদ আরো জানান, লাশ দাফনের জন্য আতাইকুলা নিয়ে গিয়েছিল এখন পাবনা নিয়ে আসবে লাশ ময়না তদন্তের পর বোঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি নিহতের পরিবার।