সকালে চালুর পর বিকেলেই বন্ধ বুড়িমারী বন্দরের কার্যক্রম

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২০, ২২:৪১

ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আড়াই মাস পর চালু হওয়া লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ফের বন্ধ হয়েছে। বুধবার (১০জুন) সকাল ৯টায় চালু হয়ে দুপুর ২টায় বন্ধ হয়ে যায় বন্দরের কার্যক্রম।
বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আমীন বাবুল জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার যৌথ সিদ্ধান্তে বুড়িমারী স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। এতে আড়াই মাস বন্ধ থাকে ত্রি-দেশীয় বাণিজ্য কেন্দ্রখ্যাত ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা ও বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম। বেকার হয়ে পড়েন বন্দরের হাজার হাজার শ্রমিক।
অবশেষে সোমবার (৮ জুন) দিনভর বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) উপস্থিতিতে উভয় দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দীর্ঘ আলোচনা শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বন্দরের সব কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত মতে বুধবার সকাল ৯টায় বন্দরের সব কার্যক্রম চালু করা হলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসে বুড়িমারী স্থলবন্দরে।
এদিকে বন্দরে পণ্য আমদানি-রফতানি হলে ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকার স্থানীয়রা করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানায়। তারা চ্যাংরাবান্ধা বন্দর সড়ক অবরোধ করলে চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়। অবশেষে চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া চিঠিতে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম দুপুর ২টায় বন্ধ করা হয়।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর বলেন, ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চিঠির কারণে চালুর পাঁচ ঘণ্টা পর আবারো বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।