
ছবি: কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
বিষমুক্ত পেয়ারা চাষ করে স্বপ্নপূরণ হয়েছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের পাটুয়াকান্দি গ্রামের যুবক আনোয়ার পারভেজ শান্ত। এখন তিনি স্বাবলম্বীও।
অন্যের বাগান দেখে নিজে ফলদ বাগান গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন যুবক আনোয়ার পারভেজ শান্ত। তাই বছর চারেক আগে নিজের ৩ বিঘা জমিতে পেয়ারার বাগান করে তোলেন। তবে তাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।
সরেজমিনে তার পেয়ারা বাগান ঘুরে দেখা যায়, বাগানে থোকা থোকা পেয়ারা ধরে আছে। বেশ কয়েকজন শ্রমিক পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পলিব্যাগ দিয়ে ব্যাগিং করায় ব্যস্ত। শ্রমিকদের সাথে পেয়ারা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগান মালিক আনোয়ার পারভেজ শান্ত। থাই পেয়ারা-৭ আবাদ করে ভালো ফলন পাওয়া যায় বলেই এটি চাষ করেছেন তিনি।
পেয়ারা বাগানে সাথী ফসল হিসেবে শসা, তরমুজ, মিষ্টিকুমড়া, লালশাক ও ডাটাশাক ও দেখা মিললো।
আনোয়ার পারভেজ শান্ত বলেন, আমার ইটভাটার ব্যবসা ছিলো। কিন্তু অন্যের বাগান দেখে ফলদ বাগান গড়ে তোলার বাসনা ছিলো আমার দীর্ঘদিনের। তাই মৎস্য ও লিচু আবাদের পাশাপাশি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নিজের ৩ বিঘা জমিতে কয়েক বছর আগে থাই পেয়ারার চারা এনে রোপণ করি।
এর আট মাসের মাথায় ফলন পাওয়া শুরু হয়। বছরে দু’বার পেয়ারা গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন এখানে ৪-৫ জন করে শ্রমিক বাগান পরিচর্যার কাজ করেন। কাজের চাপ বেশি হলে মাঝে মাঝে নিজেও শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ানো হয়।
বর্তমানে বাগানে ব্যাগিং এর কাজ চলছে। আর কিছুদিন পরেই পেয়ারা উত্তোলন শুরু হবে। পেয়ারা বিক্রিতে কোন জামেলা নেই। বাগান থেকেই ব্যাপারীরা পেয়ারা কিনে নিয়ে যান। পেয়ারা বাগানে সাথী ফসল হিসেবে বিভিন্ন শাকসবজি আবাদ করেও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছি।
ভেড়ামারা উপসহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মুন্নাফ বলেন, আনোয়ার পারভেজ শান্ত একজন সফল চাষি। তার পেয়ারা বাগানে পোকামাকড় দমনে কোনো কীটনাশকের ব্যবহার করা হয় না। আমরা ভিটামিন জাতীয় কিছু ওষুধ প্রয়োগ করতে পরামর্শ দিয়ে থাকি এবং বিষমুক্ত উপায়ে পেয়ারা উৎপাদন করতে ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিষমুক্ত এ পেয়ারার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে জেলায়। তাকে দেখে আরো অন্যান্য কৃষক পেয়ারা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।