Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

করোনাভাইরাস

রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন যেভাবে নির্ধারিত হবে

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২০, ২০:৫৪

রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন যেভাবে নির্ধারিত হবে

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাইডলাইনে বলা হয়, তিন পদ্ধতিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা যাবে।

১. প্রাথমিক নির্দেশক হিসেবে- পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে কতজন করোনা পজিটিভ রোগী চিহ্নিত হয়েছে।

২. দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক নির্দেশক হচ্ছে- পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কেসের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, সংক্রমণ বৃদ্ধির হার, রোগের লক্ষণ ভিত্তিক নজরদারি, অভ্যন্তরীণ অধিক সঞ্চরণশীলতা, অধিক দারিদ্র, খাবারের অপ্রতুলতা, নমুনা পজিটিভের হার (মোট পরীক্ষিত নমুনার মধ্যে কত শতাংশ পজিটিভ), পরীক্ষিত নমুনার রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব (স্যাম্পল সংগ্রহের পর কতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়া এবং শনাক্ত করা হচ্ছে এবং পরীক্ষার পর্যাপ্ততা।

৩. এছাড়া কোন অঞ্চলগুলো অঞ্চলায়নের অন্তর্ভুক্ত হবে সেই বিষয়ে গাইডলাইনে বলা হয়- বাংলাদেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, মহানগরী, ওয়ার্ড, মহল্লা সকল কিছু এই অঞ্চলায়নের অন্তর্ভুক্ত হবে। এই অঞ্চলায়নের সময় মহানগরীগুলোর ক্ষেত্রে, ই পি আই এলাকা বা অন্য কোনো সহজ পদ্ধতি (আকৃতিগত, প্রকৃতিগত অথবা সুবিধামত সীমানা) ব্যবহার করা হবে যাতে করে অঞ্চলগুলোকে সুনির্দিষ্ট করা যায়।


রেড জোন নির্ধারণ

শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখ জনে ৬০ জন বা এর অধিক শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে সেই এলাকা রেড জোনের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্যান্য এলাকায় পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ১০ জন বা এর অধিক শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা রেড জোন হিসেবে গণ্য হবে।


ইয়েলো জোন নির্ধারণ

ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখ জনে ৩-৫৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোনের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ৩-৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোন হিসেবে গণ্য হবে। 


গ্রিন জোন নির্ধারণ

গ্রিন জোনে ২ ধরনের এলাকা আছে। যেসব এলাকায় জোনিং এর শুরু থেকে কোনো কভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি এবং যেসব এলাকায় পূর্ববর্তী ১৪ দিনে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৩ জনের কম সংখ্যক ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত কভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে- একটি এলাকা রেড জোন হিসেবে ঘোষিত হয়ে যাওয়ার পর তা পরবর্তীতে ইয়েলো  জোনের শর্ত পূরণ করলেও ইয়েলো জোনে রূপান্তরিত হওয়ার আগে কমপক্ষে ৩ সপ্তাহ রেড জোন হিসেবেই থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল গ্রুপ প্রতি সপ্তাহে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে জোনিংয়ের পরিবর্তনের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫