
মানিকগঞ্জের রেড জোন ঘোষিত এলাকার দোকানপাট ও বাজার বন্ধ রয়েছে। এসব এলাকায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। মানিকগঞ্জের ৩টি উপজেলার ৭টি রেড জোন এলাকায় গতকাল রাত ৮টা থেকেই লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। ঘোষিত লকডাউন চলবে আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত।
রেডজোন এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। লকডাউনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
রেড জোনের আওতাভুক্ত এলাকাগুলো হলো- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম দাশড়া, উত্তর সেওতা ও গঙ্গাধরপট্টি। ঘোষণা অনুযায়ী জেলা শহরের শহীদ রফিক সড়ক, গার্লস স্কুল সড়ক, গঙ্গাধরপট্টি থানা রোড, খালপাড় থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের আগ পর্যন্ত শহীদ সরণী ও মানিকগঞ্জ বাজার এলাকা থাকবে রেডজোনের আওতায়। এছাড়া, রেডজোনের আওতায় পড়েছে সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ও সাটুরিয়া ইউনিয়ন এবং সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়ন ও সিংগাইর পৌরসভা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রেডজোনের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে সব দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। তবে, জরুরি কাজে অল্প কিছু সংখ্যক মানুষকে বাইরে দেখা গেছে। এছাড়া রেড জোনের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বাইরে থেকে কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহনগুলোকে আটকে দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী রেডজোন ঘোষিত এলাকার কোনো ব্যক্তি ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। এই এলাকার কেউ বাইরে কিংবা বাইরের কেউ এই এলাকায় আসা যাওয়া করতে পারবেন না। সব ধরনের শপিংমল, দোকানপাট বন্ধ থাকবে। রেডজোন এলাকায় অনুমোদনহীন কোনো যানবাহন চলাচল করতে পরবে না। মসজিদে নামাজের সময় ইমাম মোয়াজ্জিনসহ ৫ জন এবং জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন। যথারীতি আওতামুক্ত থাকবে সাংবাদিকসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, সরকারি ও ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানায় কমর্রত ব্যক্তি ও তাদের বহনকারী গাড়ি।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, আদেশে বর্ণিত সব আইন কঠোরভাবে পালন করা হবে। ঘোষিত এলাকাগুলোর চারপাশ বেষ্টনির মাধ্যমে আটকে দেয়া হবে। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, আনসারসহ বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কমিটির সাথে স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ দোকান থাকবে। কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ওষুধ পৌঁছে দিবেন।