গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হানিফ (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহত হানিফ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায়, মাদক, অস্ত্র, নারী নির্যাতন ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ভোরে উপজেলার হাবিবপুর এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় বন্দুক ও গুলি উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
নিহত হানিফ মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার সাহেব রামপুর এলাকার কাঞ্চন সিকদারের ছেলে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুলতান মিয়া, কনস্টেবল আব্দুল মালেক ও সুমন মিয়া।
পুলিশের দাবি, হানিফের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদে পুলিশ জানতে পারে, সন্ত্রাসী হানিফসহ বেশ কয়েকজন হাবিবপুর এলাকায় ঝিকঝাক মাঠের পাশে অবস্থান করছেন। রাত ৩টার দিকে কালিয়াকৈর থানার পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় সন্ত্রাসী হানিফ গুলিবিদ্ধ হন এবং অন্যরা পালিয়ে যান। পরে হানিফকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুফতি মাহমুদ জানান, হানিফের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় মাদক, অস্ত্র, নারী নির্যাতন ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে।