Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

পীরগঞ্জে চর্মরোগে অর্ধশত গরুর মৃত্যু

Icon

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২০, ১৮:১৪

পীরগঞ্জে চর্মরোগে অর্ধশত গরুর মৃত্যু

ছবি: ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হাজার হাজার গরু নতুন করে চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে মারা গেছে প্রায় অর্ধশত গরু। অনেক টাকা খরচ করে চিকিৎসা দিয়েও এ রোগের হাত থেকে গরুকে রক্ষা করতে পরছে না খামারি ও কৃষকরা।

তাদের অভিযোগ উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে তেমন কোন চিকিৎসা সেবা বা পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে অভিযোগ ঠিক নয় দাবি করে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, চর্ম রোগ বা লাম্পি স্কিন ভাইরাসে উপজেলায় কয়েক হাজার গরু আক্রান্ত হলেও কোন গরু মারা যায়নি। রোগ প্রতিরোধে কাজ করছেন তারা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বথপালিগাঁও, নারায়পুর, ভাকুড়া, গণিরহাট, চন্ডিপুর, মালগাঁও, মহেশপুর, মোহাম্মদপুর, করনা, কৃষ্টপুর, চন্দরিয়া, বৈরচুনা, কলিযুগ, উপদইল, মল্লিকপুর, বনুয়াপাড়া, সাগুনী, সেনগাঁও, শাশোর খটশিংগা, বহড়া, পটুয়া পাড়া সহ উপজেলার আরো বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক আকারে গরুর চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে।

এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে যাচ্ছে। প্রচণ্ড জ্বর থাকছে। কোন কিছু খাচ্ছে না। কয়েক দিনেই ফুলে যাওয়া স্থানের চামড়া পচে খতের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে গত কয়েক সপ্তাহে হাজীপুর ইউনিয়নের পটুয়াপাড়া গ্রামে দুইটি, সেনগাঁও ইউনিয়নের বেলদহী গ্রামে দুইটি, উপদইল গ্রামে একটি, বৈরচুনা গ্রামে দুইটি, আজলাবাদ গ্রামে দুইটি, জাবরহাট ইউনিয়নের রনশিয়া গ্রামে পাঁচটি, চন্দরিয়া গ্রামে তিনটি, হাটপাড়া গ্রামে দুইটি, মাটিয়ানী গ্রামে দুইটি, আমিরপাড়ায় একটি, সরকারপাড়ায় দুইটি ও দৌলতপুর ইউনিয়নের সাগুনী গ্রামে একটি সহ উপজেলায় প্রায় অর্ধশত গরু মারা গেছে।

নারায়নপুর গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন, হাসিবুর রহমান, বথপালিগাঁও এলাকার কামরুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম, ভাকুড়া গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন, আবির, নিয়ামতপুরের বিষ্ণুপদ রায়, রঘুনাথপুরের আসাদুজ্জামান, করনাইয়ের রফিকুল ইসলাম সহ অনেকে জানান, গরুর দেহের বিভিন্ন জায়গায় প্রথমে ফুলে উঠছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তা সারা শরীরে ছেয়ে যাচ্ছে, গরু খাচ্ছে না। শরীরের অনেক জ্বর থাকছে। ওষুধ খাওয়ানোর পরও গরু মারা যাচ্ছে। প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা বা চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার রায় বলেন, লাম্পি স্কিন নামে এক ধরণের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গরুর চর্ম রোগ দেখা দিচ্ছে। এটি মশা ও মাছির কামড় থেকে ছড়ায়। এ রোগের এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক বা টিকা বের হয়নি। আক্রান্ত হলে প্যারাসিটামল ও এন্টি হিসটামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

তার দপ্তরের হিসাব মতে উপজেলায় খামার এবং কৃষক পর্যায়ে গরুর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার। এর মধ্যে পাঁচ হাজারের মত গরু আক্রান্ত হয়েছে। কোন গরু মারা যাওয়ার খবর তার জানা নেই বলে জানান ওই প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫