
কুষ্টিয়ার বড়বাজার ঘোড়ারঘাট শহরের সাথে ওপারের প্রায় ১০টি গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। যেখান দিয়ে প্রতিদিন শহরে আসে প্রায় হাজার দশেক মানুষ। এদের পারাপারের একমাত্র বাহন নৌকা। কিন্তু এই পারাপারের সময় শারীরিক দূরত্বের বালাই মানছেন না অনেকেই।
শুক্রবার (১৯ জুন) সরেজমিনে গিয়ে এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। তবে এটা নতুন কোন ঘটনা নয়। আগেও যেভাবে পারাপার ঘটত এখনো সেভাবেই চলছে।
প্রতিদিন ভোর ৫ টা থেকে শুরু হয় নৌ পারাপার। চলে রাত অব্দি। কুমারখালির উপজেলার কয়া, গোট্টিয়া, শিলাইদহ, বানিয়াপাড়া, কালুয়া সহ আরো বিভিন্ন গ্রামের মানুষ প্রতিদিন শহরের আশা যাওয়া করছে। কারো শহরে আসতেই হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে। এদের পারাপারের জন্য রয়েছে কয়েকটি মেশিন চালিত নৌকা। ঐসব গ্রামগুলোর অসংখ্য মানুষ এ পাড়ে শহরে ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে।
একটি নৌকার চালক আসকার আলী জানান তিনি সঠিকভাবেই অবগত আছেন বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারণে শারীরিক দূরত্বের বিধির বিষয়টি। কিন্তু তার কিছু করার নেই বলে জানান তিনি।
আসকার জানান, প্রথম কয়েকদিন ঘাট কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরে জনগণই মানেনি বিষয়টি। বরং নিয়ম মানাতে গিয়ে তাকে গালি খেতে হয়েছে জনগণের কাছে।
সবারই খুব তাড়া, জীবনের মূল্যের চেয়ে পার হওয়াটাই যেন সবার কাছে বেশি জরুরি, মাঝিটি জানান। এ প্রতিবেদক ঘাটে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ট্রিপ লক্ষ্য করেন। দেখতে পান এক একটি বার প্রায় শ’য়ের কাছাকাছি মানুষ পার হয়ে কুষ্টিয়া অভিমুখে আসছে। নৌকার সাইজ অনুযায়ী শারীরিক দূরত্ব মেনে চললে সেখানে থাকতে পারে ২০ থেকে বাইশ জন। গাদাগাদি করে একে অপরের গায়ে ঠেস দিয়ে পারাপার চলছে।
সকালের দিকে মানুষের চাপ বেশি থাকে। কারণ এ সময় দোকান খোলা হয়। তারা শহরে এসে ব্যবসা শুরু করেন। অন্যদিকে চাপ বাড়ে বিকেলের পরপরই কারণ তখন বন্ধ হয়ে যায় সব দোকানপাট। জিজ্ঞেস করা হয় বড় বাজারের ব্যবসায়ী নদীর ওপাড়ে কয়া গ্রামের মাহবুবার রহমানকে। তিনি একটি ট্রিপে পার হয়ে এলেন।
কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলা স্বপন বলেন, কোনভাবেই মানছে না ঘোড়াঘাট বড়বাজার ঘাট কর্তৃপক্ষ l শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে কোনো নিয়ম-কানুন ছাড়াই চলছে ঘোড়াঘাট বড়বাজার পারাপার ঘাট টি। জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি l