
আজ ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালন করা হচ্ছে ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভাবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি প্রস্তাব অনুযায়ী ২০০১ সাল থেকে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালন করা হয় যারা অত্যাচার, যুদ্ধ কিংবা দুর্ভিক্ষের কারণে নিজ বাসস্থান ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের লক্ষ্যে।
শরণার্থীদের ব্যাপারে সক্রিয়বাদীরা বলছেন দিনটি ব্যতিক্রমীভাবে উদযাপন করা হবে। ভার্চুয়াল সংগীতানুষ্ঠান, অন লাইন প্যানেল আলোচনা, চলচ্চিত্র উৎসব এমনকী রান্নার অনুষ্ঠান প্রদর্শনের মাধ্যমে এই বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালন করা হবে।
এ বছরের থিম হচ্ছে Every Action Counts অর্থাৎ প্রতিটি কাজই গুরুত্বপূর্ণ যেখানে এই মহামারির সময়ে জরুরি কর্মী, নেতৃত্বদানকারী এবং প্রতিবেশী হিসেবে শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের ভূমিকা তুলে ধরা হবে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বা UNHCR এর বৈশ্বিক যোগাযোগের প্রধান জৌং-আহ-গেদিনি-উইলিয়ামস বলেন, অনেক শরণার্থী এখন কভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক অত্যাবশ্যক অংশ হয়ে গেছেন।
ভয়েস অফ আমেরিকাকে তিনি বলেন, আমরা এমন বহু শরণার্থীকে জানি যাঁরা বিভিন্ন ভাবে তাঁদের ভূমিকা পালন করছেন। জরুরি কর্মী হিসেবে তাঁরা হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করছেন , বয়স্ক লোকজনের যত্ন নিচ্ছেন,তাঁদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা জানাচ্ছে গোটা বিশ্বে এখন প্রায় সাত কোটি দশ লক্ষ এমন লোক রয়েছে যাদেরকে জোর করে বাস্তুচ্যূত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মতে যুক্তরাষ্ট্র চলতি অর্থবছরে ১৮,০০০ শরণার্থীকে বসবাস করার অনুমতি দেবে এবং আরও সাড়ে তিন লক্ষ লোকের আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন বিবেচনা করবে। গত অর্থ বছরে যুক্তরাষ্ট্র তিরিশ হাজার শরণার্থীকে গ্রহণ করেছে।
২০১৮ সালের পয়লা অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্ধেকের ও বেশি শরণার্থী আসে আফ্রিকান দেশগুলো থেকে।