ময়মনসিংহের তারাকান্দায় এইচ.এ. ডিজিটাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক পদ ও ইন-নাম্বার ব্যবহার করে জাতিসংঘের সুবিধা আদায়ের প্রতিবাদে সাবেক যুগ্ম সচিব মোখলেছুর রহমান খান ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান খান।

শনিবার (২০ জুন) দুপুরে এইচ.এ. ডিজিটাল স্কুল এন্ড কলেজে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

খায়রুজ্জামান খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাবেক যুগ্ম সচিব মোখলেছুর রহমান খানের কাছ থেকে ১০ বছরের জন্য জমি লিজ নিয়ে তারাকান্দা শহরে এইচ.এ. ডিজিটাল স্কুল এন্ড কলেজের কার্যক্রম শুরু করি। এতে প্রায় আমার ৯১ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তিনি আমার সম্পর্কে চাচাতো ভাই হয়। আমি সরকারি চাকরি করতাম বিধায় তাকে মৌখিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেই।

আমার সেই সরলতা ও বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে তার মেয়ে সওগাত নাজবিন খানকে এইচ.এ. ডিজিটাল স্কুল এন্ড কলেজের ভুয়া ফাউন্ডার ডিরেক্টর দেখিয়ে জাতিসংঘের ৭১তম অধিবেশনে প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতি স্বরূপ তরুণ নেতা নির্বাচিত হন। জাতিসংঘের মাধ্যমে ৫০টির মত রাষ্ট্রে ইতোমধ্যে শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্বপালনসহ এইচ.এ. ডিজিটাল স্কুল এন্ড কলেজের নামে অবৈধভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। শিক্ষক নিয়োগ দিয়েও ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সচিবের কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টাকার জমি ক্রয় করলেও তা দলিল করে দেয়নি বলে অভিযোগ করেন খায়রুজ্জামান খান।
 
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি সাবেক যুগ্ম সচিব মোখলেছুর রহমান খান ক্ষমতার অপব্যবহার করে এইচ.এ. ডিজিটাল স্কুল এন্ড কলেজটি তার দখলে নেয়ার চেষ্টা করছেন। প্রশাসন দিয়েও তাকে নানা ভাবে হয়রানী করছেন।

সাবেক যুগ্ম সচিব মোখলেছুর রহমান খান বলেন, আমি কাউকে অযথা হয়রানী করছিনা। এইচ.এ. ডিজিটাল স্কুল এন্ড কলেজর জায়গা তাদের দুই ভাইয়ের। ঠিকমতো ভাড়া পরিশোধ না করায় ব্যাংক লোন বাড়ছে তাই খায়রুজ্জামান খানকে জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে সওগাত নাজবিন খানের সাথে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
 
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ হোসনে আরা শিশির, উপদেষ্টা মফিদুল ইসলাম আকন্দ, প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ, আকিকুল ইসলাম, এমডি সোহেল প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বসের ‘এশিয়ার ৩০ বছরের নিচে ৩০ পথিকৃত নারীর’ তালিকায় ‘পাইওনিয়ার উইম্যান’ ক্যাটাগরিতে সাবেক যুগ্ম সচিব মোখলেছুর রহমান খানের মেয়ে সওগাত নাজবিন খানকে নির্বাচিত করা হয়।

ময়মনসিংহের তারাকান্দার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এইচ এ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার কারণে তাকে এই স্বীকৃতি দেয় ফোর্বস ম্যাগাজিন। এইচ এ ফাউন্ডেশনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হচ্ছে­ এইচ এ ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।