কুয়েতে পাপুলের কোম্পানি ১৪০ কোটি টাকা জব্দের আবেদন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২০, ১২:০১

শহীদুল ইসলাম পাপুল
অর্থপাচার ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুল এবং তার কোম্পানির হিসাব জব্দ করা হচ্ছে।
কোম্পানিটির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ফ্রিজ করতে কুয়েতের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর।
কুয়েতের পত্রিকা আরব টাইমের গতকাল শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছেন, যাতে ওই অর্থ অন্য কোথাও পাচার না হতে পারে। এছাড়া সরকারের কৌঁসুলিরা মনে করছেন পরবর্তীতে এটা মামলার প্রমাণ হিসেবে তাদের জন্য জরুরি।
প্রসিকিউশনের বরাতে পত্রিকাটি লিখেছে, ওই কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ৫ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার রয়েছে। যার মধ্যে ৩ মিলিয়ন দিনার কোম্পানির মূলধন। সন্দেহভাজন এই অর্থ যাতে তোলা বা স্থানান্তর করা না যায় এবং আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা যায়, সেজন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এদিকে কুয়েত সরকারের তিন কর্মকর্তা পাপুল মামলায় সরকারি কৌঁসুলির কাছে স্টেটমেন্ট দিয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন ম্যানপাওয়ার কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও একজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।
এখন পর্যন্ত তদন্তে পাওয়া গেছে, পাপুল প্রতি বছর ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রায় ৬০ কোটি টাকা নেট লাভ করতো।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের কুয়েতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। আটকের পরদিন থেকে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এই এমপি রিমান্ডে যা বলেছেন, তা প্রসিকিউটরদের বরাতে প্রকাশ করছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। কুয়েতি কর্মকর্তাদের তিনি কীভাবে কত টাকা ঘুষ দিয়েছেন, সেসব কথাও সেখানে আসছে।