
ঠাকুরগাঁওয়ে ভোরবেলা ও সন্ধ্যায় কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ভোরবেলা ও সন্ধ্যায় কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। এতে শীতের আগমনি বার্তা জানান দিচ্ছে জেলার ৫ উপজেলার মানুষকে। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে এ জেলায় শীতের আগমন ঘটলেও এবার আশ্বিন মাসের শেষ ১০ দিনেই শুরু হয়েছে শীতের বার্তা।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে এ বছর দ্রুত শীত শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাতভর হালকা বৃষ্টির মতো টুপটুপ করে কুয়াশা ঝরতে থাকে। বিশেষ করে ধানের শীষে কুয়াশা বিন্দু বিন্দু জমতে দেখা যায়।
আজ রবিবার ভোরবেলা দেখা গেছে, হালকা কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাস্তাঘাট। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাস-ট্রাকগুলো হেডলাইট চালিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। অনেকেই হালকা গরম কাপড় গায়ে দিয়ে কাজে বের হচ্ছেন।
চায়ের দোকানদার সমীর হোসেন জানান, দুদিন থেকে মোটরসাইকেলে ভোরবেলা দোকানে আসার সময় শীত শীত লাগছে। এর ফলে হালকা গরম কাপড় গায়ে দিয়ে দোকানে আসছেন তিনি।
তবে শীতের আগমন ঘটলেও লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। অনেক গরম কাপড় ব্যবসায়ী বলছেন, শীতের লেপ-তোষক বানানেরা কাজ শুরু হতে আরো ২০-২৫ দিন লাগবে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর গ্রামের বাসচালক মকবুল হোসেন জানান, গত বছর এমন সময়ে কোনো কুয়াশা লক্ষ্য করিনি। এ বছর দুদিন ধরে সকালে বাস নিয়ে বের হবার সময় হেডলাইড জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে। তাছাড়া হালকা বাতাসের কারণে ঠাণ্ডাও অনুভুত হচ্ছে।
সবজি চাষি আলতাফ আলী বলেন, হালকা শীতের কারণে ফসলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ শুরু করে। এতে ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ করতে। উৎপাদন খরচও বেড়ে যায়।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন মুঠোফোনে জানান, হালকা শীতের কারণে বিভিন্ন ফসলে রোগ-বালাই দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আমরাও ফসলের সুরক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে রোগ-বালাই কাটিয়ে ফসলের বাম্পার ফলন হবে।