দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। রবিবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দেশে কভিড-১৯ এ মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জন। এমন পরিস্থিতিতে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোনো টিকা বের না হওয়ায় আক্রান্তদের প্লাজমা থেরাপি দেয়া হচ্ছে এবং এই থেরাপিতে ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। প্লাজমা যখন আশার আলো দেখাচ্ছে ঠিক তখনই এক শ্রেণির অসাধু চক্র জীবন রক্ষাকারী প্লাজমা নিয়েও প্রতারণা শুরু করেছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমনই একটি অডিও বার্তা ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকে প্লাজমা সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সেই নম্বরে কল দেন। কিন্তু ওই প্লাজমা ডোনার এক লাখ টাকা দাবি করে বসেন।
প্লাজমা ডোনার বলেন, আমার বি পজিটিভ ব্লাড গ্রুপ, এক লাখ টাকা লাগবে। যে অবস্থা বাংলাদেশের, কয়েকদিন পরে ২-৩ লাখ টাকায় পাওয়া যাবে না। প্লাজমা এখন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আরো দুইদিন ওয়েট করেন, ২ লাখ টাকা হয়ে যাবে। টাকা দিতে রাজি হলে প্লাজমা ডোনারের নম্বর দেয়া হবে।
প্লাজমা
প্লাজমা বা রক্তরস হলো রক্তের জলীয় উপাদান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হলে শরীরে এক ধরনের বিশেষ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। করোনা থেকে সুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে প্লাজমা নিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে প্রয়োগ করা হয়। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়ার ১৪ দিন পর বা আক্রান্ত হওয়ার ২৮ দিন পর একজন ব্যক্তি প্লাজমা দান করতে পারবেন। বাংলাদেশের সরকার প্রদত্ত নীতিমালা অনুযায়ী, রক্তের প্রচলিত পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে একজন ব্যক্তি প্লাজমা দান করতে পারবেন।
তবে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিকিৎসা নীতিমালা থেকে প্লাজমা থেরাপি তুলে নিয়েছে। তবে পরীক্ষামূলক ব্যবহার চলতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।