Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় নতুন প্রোপাগান্ডা

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২০, ০৯:২৯

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় নতুন প্রোপাগান্ডা

এবার বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে ভারতীয় মিডিয়া। প্রচার করা হচ্ছে, ভারতকে বাংলাদেশ উস্কানি দিয়েছে। ভারতকে উস্কে দিয়ে চীন থেকে অস্ত্র কিনছে।কাশ্মীর থেকে পরিচালিক সংবাদমাধ্যম ‘এশিয়ান নিউজ হাব’ ‘বাংলাদেশ ভারতকে উস্কানি দিয়ে এখন চীন থেকে অস্ত্র কিনছে’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করেছে।


গণমাধ্যমটি বলেছে, নেপালের পর ভারতের আরেক বন্ধুদেশ বাংলাদেশ চীনের দিকে ভারতের থেকে বেশি ঝুঁকে পড়ছে।ভারতীয় মিডিয়ায় এমন প্রচারণা চালানো হলেও প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ সবসময় চীন থেকে অস্ত্র ক্রয় করে। এমনকি বাংলাদেশের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ চীন। বিষয়টি নতুন কিছু নয়। চীনের সাথে বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ক অনেক গভীর এবং অনেক আগের।


কিন্তু লাদাখের ঘটনার পর এই বিষয়টিকে টেনে এনে তাদের দাবি ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ চীন থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্যাংক, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য।


এশিয়ারন নিউজ হাবের খবরে বলা হয়েছে, ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ তাদের সেনাবাহিনীকে মডার্ন গিয়ার যেমন; নাইট ভিশন গগলস, ব্যালেস্টিক হেলমেট, আই প্রটেক্টেড গিয়ার, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ব্যক্তি যোগাযোগের ব্যবস্থা, পাল্মটপ, জিপিএস ডিভাইস, বিডি-০৮ এসল্ট রাইফেল সাথে কলিমেটর সাইট ইত্যাদি দিয়ে সজ্জিত করছে। 


২০০৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশ ৬৫০ টি বিটিআর-৮০ আর্মড পারসনেল ক্যারিয়ার, ৫০ টি অটোকার কোবরা ১ এবং ৫০ টি অটোকার কোবরা ২ এবং BOV M11 আর্মড রিকনিসেন্স ভেহিকেল সংগ্রহ করেছে।


গণমাধ্যমটির ভাষ্যমতে, ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও চীন থেকে অস্ত্র কেনার এই সিদ্ধান্ত ভারতকে বাংলাদেশ থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। এটিই ভারতীয় বিশ্লেষকরা উস্কানি হিসাবেই নিচ্ছেন।


এর আগে চীনের বাজারে রফতানিতে বাংলাদেশে তৈরি শুল্কমুক্ত সুবিধাকে ‘খয়রাতি’ হিসেবে উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আনন্দবাজার পত্রিকা। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা। 


গত ২০ জুন প্রকাশিত ‘লাদাখের পর ঢাকাকে পাশে টানছে বেইজিং’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনের শুরুতেই ‘বাণিজ্যিকলগ্নি আর খয়রাতির সাহায্য ছড়িয়ে বাংলাদেশকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা চীনের নতুন নয়’ বলে লেখা হয়।


প্রতিবেদনের এই বাক্যে ‘খয়রাতি’ শব্দের ব্যবহারে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক সমাজ সরব হন সামাজিকমাধ্যমে। এরই প্রেক্ষিতে পত্রিকাটি নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছে।


মঙ্গলবারের পত্রিকায় ‘ভ্রম সংশোধন’ দিয়ে ক্ষমা চায় আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষ। ভ্রম সংশোধন শিরোনামে লিখেছে- ‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেজিং’- শীর্ষক খবরে খয়রাতি শব্দের ব্যবহারে অনেক পাঠক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী।’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫