বদলে যাচ্ছে রেড জোনের সংজ্ঞা, তৈরি হচ্ছে নতুন গাইডলাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২০, ১৯:৪৫

করোনায় সৃষ্ট বিপর্যয়ের মধ্যেই জোন, তালিকা, বিধি-নিষেধ আর গাইডলাইনের চক্করে অনেকটাই বিভ্রান্ত ঢাকাবাসী। এর আগে করোনার বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের চিন্তা করে সরকার। এক্ষেত্রে সংক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকাকে গ্রিন, ইয়েলো ও রেডজোনে ভাগ করে আংশিক অথবা পুরোপুরি লকডাউন করার পরিকল্পনা করা হয়।
ওই সময় ঢাকার ৩৮ এলাকা আংশিক লকডাউনের তালিকা সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়, যা পরে সরিয়েও ফেলা হয়। তখন সরকারি ওয়েবসাইটে ৫০ জেলা পুরোপুরি ও ১৩ জেলা আংশিক লকডাউনের তালিকা প্রকাশ করে।
এরপর গত ১৪ জুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের বেশকিছু এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৪৫টি এলাকা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একাধিক ওয়ার্ড এবং এর বাইরে আরো তিন জেলার বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ম্যাপ ছিল না দুই সিটি করপোরেশনের কাছে। তালিকার ডাটাবেইজে বেশিরভাগেরই ছিল না স্পষ্ট ঠিকানা। এরকম পরিস্থিতিতে আবার ঢাকার রেড জোন চিহ্নিত ৪৫ এলাকার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে।
এখন রাজধানীর বেলায় বদলে যাচ্ছে রেড জোনের সংজ্ঞা, তৈরি হচ্ছে নতুন গাইডলাইন। নতুন গাউডলাইনে সরকার প্রাথমিকভাবে তিনটি বিষয়ে পরিবর্তন আনছে। এর মধ্যে রেড জোনেও খোলা থাকবে দোকানপাট, চলবে অর্থনৈতিক সব কর্মকাণ্ড। সঙ্গে থাকবে সরকারি সাধারণ ছুটিও। তবে তা নির্দিষ্ট এলাকা ভিত্তিকসহ এর আশপাশের এলাকাজুড়ে সংক্রমণের হারে কার্যকর হবে। লকডাউন এলাকার বাহিরে সবার ক্ষেত্রে গণহারে সাধারণ ছুটি আর নাও থাকতে পারে। হালনাগাদ করা হয়েছে রাজধানীর ৪৫ এলাকা নিয়ে করা রেড জোন তালিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে শনিবার (২৭ জুন) এসব কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, নতুন গাইডলাইনে তালিকা পেতে লেগে যাবে আরও অন্তত ২ সপ্তাহ। ততোদিনে ওয়ারী এবং উত্তরায় পরীক্ষামূলক লকডাউনে যেতে চায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানান হয়- এক লাখে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হলে সে এলাকা হবে রেড জোন। সেখানে থাকবে ২১ দিনের সাধারণ ছুটি, কার্যত বন্ধ দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। থাকবে পর্যাপ্ত নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা।
গত ১৪ জুন রাজধানীতে এমন ৪৫ এলাকা চিহ্নিত করে তালিকা দেয় জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি। বাস্তবায়নে থাকবে সিটি করপোরেশন। কিন্তু আক্রান্তের অবস্থান ধরে সুনির্দিষ্ট ম্যাপ চায় দুই মেয়র। দুই সপ্তাহ হয়ে যাচ্ছে তবুও তৈরি হয়নি সেই ম্যাপ। শেষে ওই ম্যাপিং ছেড়ে রেডজোনের নতুন গাইডলাইন আর তালিকা হালনাগাদের ঘোষণা দিলো অধিদপ্তর। আর বিধিনিষেধেও আসছে বড়সর পরিবর্তন।