
মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ (লক্ষ্মীপুর-রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুল এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের (এনআরবিসি) পরিচালনা পর্ষদ থেকে অপসারিত হয়েছেন।
সোমবার (২৯ জুন) এনআরবিসির পরিচালনা পর্ষদের সর্বশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ।
তিনি জানান, ব্যাংকটিকে বির্তকের ঊর্ধ্বে রাখতেই ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত পাপুলকে পরিচালনা পর্ষদের পাশপাশি ভাইস-চেয়ারম্যান ও এনআরিবিসি সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যানের পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
শহীদ ইসলাম পাপুল এনআরবিসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন উদ্যোক্তাদের একজন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তনের সময় তিনি বিভিন্ন পদে দায়িত্ব লাভ করেন। পাপুল ও তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকটিতে ৩ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার রয়েছে।
গত ৭ জুন মানব পাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পাপুল জানিয়েছেন, কীভাবে তিনি কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তাদের সহায়তায় মানবপাচার ও অর্থপাচার করতেন। বর্তমানে পাপুল কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। আগামী ৬ জুলাই পাপুলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনের কথা রয়েছে। অপরাধ প্রমাণ হলে পাপুলের পাঁচ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে।
পাপুল ২০১৮ সালে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেষ মূহূর্তে সরে দাঁড়ালে বিএনপিকে ঠেকাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ পাপুলের পক্ষে কাজ করে। এমপি হওয়ার পর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের কোটায় পাওয়া সংরক্ষিত একটি আসনে তার স্ত্রী সেলিনাকে এমপি করে আনেন পাপুল।